দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় ফসলের মাঠে শুরু হয়েছে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপন, নয়তো রোপনের প্রস্তুতি। এখন বিভিন্ন ফসলের মাঠে এ কাজে ব্যস্ত কৃষক। অনেক স্থানে শীতের ঠাণ্ডায় কৃষি শ্রমিক না পাওয়ায় অনেকে এখনও বোরো চারা রোপন করতে পারেনি। তবে বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ, সার, কীটনাশক, ডিজেলসহ শ্রমিকের মজুরের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার ইরি-বোরো চাষে অতিরিক্ত খরচের শঙ্কায় আছেন কৃষক। এরপরেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেলে অতিরিক্ত খরচ পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা।
বিভিন্ন ফসলের মাঠে দেখা যায়, ইরি বোরো ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। জমিতে বাড়তি সার হিসেবে বিঘা প্রতি ৬-৭ ভ্যান গোবর সার ছিটিয়ে দিচ্ছে। এরপর গভীর নলকূপ থেকে পানি দিয়ে জমি ভিজিয়ে নিয়ে পাওয়ার টিলার দিয়ে কেউবা মেসি (ট্রাক্টর) দিয়ে চাষ করছেন। এতে বিঘা প্রতি ২০ কেজি ডেপ, ১২ কেজি পটাস, ৫ কেজি জিপসার মিশিয়ে দ্বিতীয় বার চাষ করে চারা রোপনের জমি তৈরি করে জমিতে চারা রোপন করছেন। ইতোমধ্যে জেলায় ১৫-২০ শতাংশ জমিতে চারা রোপণ হয়েছে।
জাংগই গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ১০ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করে থাকি। কয়েক দিনের মধ্যে আমার সম্পূর্ণ জমিতে চারা রোপন শেষ হবে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার খরচের হিসাব বেশি গুনতে হচ্ছে।
খাট্রাউচনা এলাকার জমি রোপন করা শ্রমিক শাহাদৎ হোসেন বলেন, আমরা কয়েকজন একটি দল করেছি। দীর্ঘদিন থেকে ইরি বোরো ও আমন ধানের চারা রোপণ করে আসছি। এবার ইরি বোরো ধানের চারা রোপণ প্রতি বিঘা (৩৩ শতক) ১৩০০ টাকা করে নিচ্ছি। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ বিঘা জমিতে ইরি বোরো ধানের চারা রোপন করা যায়।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম জানান, চলতি মৌসুমে হাকিমপুরে ইরি বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ৫৭৪ হেক্টর জমি। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ইরি বোরো চাষ হবে। ইতোমধ্যে হাকিমপুরের ১৫-২০ শতাংশ জমিতে ইরি বোরো ধানের চারা রোপন করা শেষ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক হাকিমপুরের প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ইরি-বোরো হাইব্রিড ধানের বীজ ২০০০ জন এবং উফশি জাতের ২০০০ জনের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে সার ও বীজ বিতরণ করেছি।