হাল ফ্যাশনে ট্রেন্ডি কুর্তি

0

ঋতুভেদে ফ্যাশনপ্রেমী তরুণীরা সবসময় পোশাকে চান বৈচিত্র্যতা। পূর্ব বা পশ্চিমা ধাঁচ- পোশাকের ভিন্ন দুটি ধারার সমন্বয়ের মাধ্যমে চমৎকার ট্রেন্ডি ফিউশন আনা যায়। তাই তো হালের মেয়েদের পোশাকের তালিকায় বড় স্থানজুড়ে আছে কুর্তি পোশাক

নিত্যদিনের চলাফেরায় ফ্যাশনপ্রিয়দের কাছে কুর্তি এখন দারুণ জনপ্রিয়। সব ঋতুতে পরার জন্য ঢিলেঢালা কুর্তির স্টাইল বেশ আধুনিক। ফরমাল পরিবেশে লং কাটের কুর্তি আনে আভিজাত্য। রাত কিংবা দিন; সব আয়েজনেই কুর্তি সহজেই মানিয়ে যায়। ডিজাইনে ভিন্নতা ও পার্টি লুক আনতে বেল্ট, ইলাস্টিক, জিপার ও ফিতার ব্যবহারও নিয়ে এসেছে বৈচিত্র্যতা। প্রয়োজনমাফিক সেরে নেওয়া যায় ঢিলে বা আটসাঁট ফ্যাশনে। পূর্ব ও পশ্চিমা ধাঁচ- পোশাকের ভিন্ন দুটি ধারার সমন্বয়ে চমৎকার ফিউশন তৈরি করা যায়।
 
কুর্তি, কাফতা কিংবা টপস আজকাল মেয়েদের বিশেষ পছন্দের পোশাক। কারণ কুর্তি, টপসের কাটিংয়ে রয়েছে ব্যাপক বৈচিত্র্য। যে কেউ খুব সহজেই হয়ে উঠতে পারেন আপাদমস্তক ফ্যাশনেবল। পোশাকটা ঢিলা হওয়ায় এর সঙ্গে একটু চাপা টাইপের জিন্স প্যান্ট বা থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্টের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে যায় এবং লেগিংসের সঙ্গেও দেখতে ভালো লাগে। একরঙা ও প্রিন্ট দু-ধরনের লেগিংসের সঙ্গে পড়া যায় নিমেষেই। টপসের চেয়ে কুর্তিতে লেন্থটা বেশি থাকে। কিছু কুর্তিতে নানা ডিজাইনের কলার ব্যবহারে নতুনত্ব আনা হচ্ছে।

এ রকম আরেকটি কুর্তি স্টাইলের পোশাক হচ্ছে ডাস্টার জ্যাকেট। জর্জেট, ক্রেপ, সিল্ক বা ভারী শিফনের মতো কাপড়ে তৈরি হয় এটি। বিভিন্ন পরিবেশে বিভিন্ন উপায়ে পরা যায় এটি। ট্যাঙ্ক টপ আর জিন্সের ওপর ডাস্টার জ্যাকেট পরে চলে যাওয়া যায় সুপারমার্কেটে। আবার বন্ধুদের দুপুরের খাবারের নিমন্ত্রণ থাকলে মানানসই ব্লাউজ বা টপ এবং ফ্লেয়ারড প্যান্টের ওপর পরে নেওয়া যায় এই জ্যাকেট। ম্যাক্সি ড্রেস জাতীয় লম্বা পোশাকের ওপর ডাস্টার জ্যাকেট পরে করতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও। একটু ভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চাইলে এটি পরে নেওয়া যায় পরিপাটি করে পরা শাড়ির ওপর।

ফিউশন ফ্যাশনের সবচেয়ে বড় উপহার সম্ভবত কাফতান টপ। ফিতাসহ ঢিলেঢালা ধরনের এই পোশাকটি আরামদায়ক তো বটেই, এর আরেকটি বাড়তি সুবিধাও আছে। ওয়েস্টলাইন তুলনামূলক সরু দেখায় এতে। কাফতানের স্টাইল যে কতভাবে করা যায় আর কত ধরনের কাপড় দিয়ে যে এই পোশাকটি বানানো যেতে পারে তা বলে শেষ করা যাবে না। তাঁতের কাপড় থেকে শুরু করে পাতলা শিফন বা ক্রেপ। নানা ধরনের কাপড়ে তৈরি হতে পারে কাফতান। সঙ্গে গয়না হোক বা না হোক, কাফতান প্রতিটি পরিবেশেই মানানসই ও সুন্দর পোশাক।
 
কুর্তি, টপসের কাটিংয়ে রয়েছে ব্যাপক বৈচিত্র্য। পোশাকটা ঢিলা হওয়ায় এর সঙ্গে একটু চাপা টাইপের জিন্স প্যান্ট বা থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্টের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে যায় এবং লেগিংসের সঙ্গেও দেখতে ভালো লাগে। একরঙা ও প্রিন্ট দু-ধরনের লেগিংসের সঙ্গে পড়া যায় নিমেষেই। টপসের চেয়ে কুর্তিতে লেন্থটা বেশি থাকে। কিছু কুর্তিতে নানা ডিজাইনের কলার ব্যবহারে নতুনত্ব আনা হচ্ছে। কুর্তির নিচের অংশে কাটে নতুনত্বের প্রয়াস চোখে পড়ার মতো। গোলাকার, নৌকা, ভি ইত্যাদি পুরনো কাটেও বৈচিত্র্য নিয়ে এসেছে। কুর্তার নিচের অংশে অর্থাৎ বটম লাইনে লেয়ারিং নকশা দেখা যাচ্ছে। সামনের অংশের চেয়ে পেছনের বেশ খানিকটা ঝুল নামানো কাটিংও আছে। বিভিন্ন কাটিং ও প্যাটার্নে তৈরি হচ্ছে টপস। কখনো গলায়, কখনো হাতা অথবা বটম লাইনে আসছে বৈচিত্র্য। টপসের ক্ষেত্রে সিল্ক, সাটিং, জর্জেট, সুতি কাপড়ের ব্যবহার বেশি হচ্ছে। টপস এবং কুর্তির কাটের মধ্যেও বৈচিত্র্য আনা হচ্ছে। টপসগুলো খুব বেশি ফিটিংভাবে তৈরি না করে একটু ঢিলেঢালা রাখা হয়। কুচি, প্লিট, ইলাস্টিক, বেল্ট, ইয়োক, পুঁতি-চুমকি, প্যাচওয়ার্কসহ বিভিন্ন অনুষঙ্গ ব্যবহারে যোগ করা হচ্ছে নতুনত্ব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here