কাঁদলেও আছে উপকার!

0

কান্নার সাথে মানুষের যোগসূত্র জন্মলগ্ন থেকে। প্রথমবার কেঁদেই মানুষ পৃথিবীতে তার অস্তিত্ব জানান দেয়। কান্না দুঃখের প্রতীক হলেও এতে আছে নানা লাভ। 

বিজ্ঞানীরা বলছেন, কান্নার সময় চোখের জলের সাথে চোখের আশপাশে থাকা ধুলাময়লাও বের হয়ে যায়। বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে বাঁচায়। আর গভীর কান্নায় থাকে ব্যথানাশক কেমিক্যাল ‘লিউসিন-এনকেফালিন’। এ কারণেই গভীর বেদনায় কাঁদার পর মানুষের চাপমুক্ত লাগে। 

কাঁদলে সুখানুভূতি ও প্রশান্তি আসে। এই সুখানুভূতির পেছনে আছে অক্সিটোসিন ও এন্ডোরফিন নামক হরমোনের নিঃসরণ।

সম্পর্কে গভীরতা যোগ করে কান্না। জন্মের শিশুর সঙ্গে তার মায়ের সম্পর্কের প্রথম সূচনা হয় কান্না দিয়ে। বড় হওয়ার পরও কান্না সম্পর্কে গভীরতা আনে।

আবেগের আদান-প্রদান হয় কাঁদলে। কারণ, কান্না হলো গভীরতর আবেগের বহিঃপ্রকাশ। কান্নায় আত্মসচেতনতা বাড়ে। কান্নার আসার মতো কষ্ট পাওয়ার কারণগুলো নিয়ে তখন মানুষ বিস্তারিত ভাবে। নিজের কার্যকলাপ নিয়ে আরো সচেতন হয়ে ওঠে।

কাঁদলে ঘুম ভালো হয়। যেসব শিশুরা দিনের বেলায় অনেক কাঁদে, তাদের রাতে ঘুম ভালো হয়। বড়দের ক্ষেত্রেও তেমনই ঘটে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here