কুমিল্লা সদর উপজেলার দুর্গাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন। এখানে ছোট আলমপুর, বড় আলমপুর, বিষ্ণপুর, কৃষ্ণপুর, রাজেন্দ্রপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে আমন ও বোরো ধান চাষ হতো। সেখানে গত দুই বছর ধরে তিনটি ফসল হচ্ছে। যোগ হয়েছে আউশ ধান চাষ। সাথে চাষ বেড়েছে সবজি, গম, ভুট্টা, সরিষা, পিয়াজের। জমিতে তিনবার ধান চাষে আয় বেড়েছে কৃষকদের। সাথে সবজিসহ অন্যান্য ফসল আবাদে তাদের হাতে আসছে নগদ টাকা। এতে খুশি তারা।
জেলায় গত বছর ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ হয়। এবারের লক্ষ্যমাত্রা ৯২ হাজার হেক্টর।
বড় আলমপুর গ্রামের কৃষক হারুন মিয়া বলেন, তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শ ও প্রণোদনা পেয়ে আউশ চাষ করেছেন। এছাড়া সবজি চাষ করছেন। কেঁচো সার ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ টমেটো উৎপাদন করেছেন।
স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোসাম্মদ আমেনা খাতুন বলেন, তিনি এই ব্লকে ৩ বছর আগে যোগ দেন। তখন এক হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ হতো। উঠান বৈঠক, পরামর্শ, নতুন জাত ও প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন। এখন এই ব্লকে ১০ হেক্টরের বেশি জমিতে আউশ আবাদ হচ্ছে। এছাড়া তার ব্লকে আগে ৪ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হতো, এখন ১০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হচ্ছে। যার মধ্যে ৭ হেক্টর জমিতে জৈব সার ব্যবহার করেন কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন,আমরা আউশ আবাদে গুরুত্ব দিয়েছি। আউশ বৃষ্টি নির্ভর ফসল। এতে খরচও কম লাগে। লাভ পেয়ে কৃষক আউশ আবাদে ঝুঁকছেন।