খাল ভরাটসহ অপরিকল্পিত বাঁধ দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে নেত্রকোনার কয়েক শতাধিক কৃষকের বোরো ফসল। প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েও স্থায়ী সমাধান মেলেনি। যদিও পানি নিস্কাশনে সাময়িক ব্যবস্থা নিলেও বাঁধ সৃষ্টিকারী সংশ্লিষ্টদের অসৌজন্যমূলক আচরণের সন্মুখীন হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পিছিয়ে পড়া জেলা নেত্রকোনায় শিক্ষার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নিজ নামে প্রতিষ্ঠা হচ্ছে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়। সদর উপজেলার কান্দুলিয়া এলাকায় ৫শ’ একর ভূমিতে চলছে বালু ভরাটের কাজ। মাটি মিশ্রিত বালু ভরাটের কথা থাকলেও অর্থ বাঁচাতে কংস নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ পন্থায় ড্রেজার মেশিনে উত্তোলন করে আনা হচ্ছে পাইপ লাইনে। আর সেই বালু ঠেকাতে বেশ কিছু খালেই দেওয়া হয়েছে অপরিকল্পিত বাঁধ। বন্ধ করা হয়েছে পানি নিস্কাশনের স্লুইসগেট। ফলে সম্প্রতি সামান্য বৃষ্টিতেই হুমকির মুখে পড়েছে সিংহের বাংলা, ঠাকুরোকোনা ও মেদনী ইউনিয়নের বেশ ক’টি বিলের কয়েকশ’ হেক্টর ফসলি জমি।
এর প্রেক্ষিতে পানি নিস্কাশনে সাময়িক ব্যবস্থা নিলেও বাঁধ সৃষ্টিকারী সংশ্লিষ্টদের অসৌজন্যমূলক আচরণের সন্মুখীন হয়েছে প্রশাসন। এতে হতাশার কথা জানিয়েছেন ওই এলাকার অসংখ্য কৃষকসহ সিংহের বাংলা ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহসান সুমন।
চেয়ারম্যান বলেন, কৃষকদের সাথে করে নিয়ে গিয়ে যে অবস্থা দেখেছি তাতে মনে হয় ভার্সিটি থেকে ভালো কিছু শিখবে না ভবিষ্যতের শিক্ষার্থীরা। কতৃপক্ষ প্রশাসনকে যা তা বলেছে যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার জানান, সম্প্রতি বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হওয়া জলাবদ্ধতার সমাধান হলেও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোনও রকমে অস্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শুভ্র চন্দন মহলী জানান, পিআরও হয়তো কিছু একটু বলে থাকতে পারে। তবে আমাদেরকে খবর দিয়েছে প্রশাসন মোবাইল কোর্ট করেছে।
চেয়ারম্যান সুমনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এসি ল্যান্ড মোবাইল কোর্ট করেছে। তাই হয়তো চটে গিয়েছে পিআরও আরাফাত। এর বেশি কিছু না।
প্রকল্প পরিচালক আনিস মাহমুদ জানান, এবার কিছুটা আগাম বৃষ্টি হওয়ায় সমস্যা হয়তো হয়েছে। আমরা দেখছি কী করা যায়। ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করছি।