শেরপুরে সূর্যের দেখা নেই গত এক সপ্তাহে। প্রচণ্ড শীতের সাথে যোগ হয়েছে কনকনে বাতাস। দুপুরে তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও বিকাল থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। রাতে শুরু হয় শীত আর কুয়াশার দাপট।
গত তিন দিনে শেরপুরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। ঠাণ্ডাজনিত রোগে বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ওয়ার্ডে রোগীর প্রচণ্ড চাপ বেড়েছে। ভর্তি শিশুদের হাসপাতালের মেঝেতেও স্থান মিলছে না। তাই বাধ্য হয়েই মায়েরা কোনো রকম বসে-দাঁড়িয়ে শিশুদের কুলে নিয়ে দিন-রাত কাটাচ্ছেন। হাসপাতাল প্রশাসন চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। তবে ঠাণ্ডা সংক্রান্ত রোগে কোনো শিশুর মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের বহিঃবিভাগে শত শিশুদের নিয়ে পিতা-মাতার লম্বা লাইন লেগেই থাকেছে। শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তাদের দিন-রাতে কয়েকবার আসতে হচ্ছে হাসপাতালের ওয়ার্ডে। ডাক্তারদের প্রাইভেট চেম্বার গুলোতে থাকছে উপচে পড়া ভীড়।
সেবা নিতে আসা মানুষজন হাসপাতালের নানা সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। হাসপাতালের সীমিত সংখ্যক শয্যায় জায়গায় না পেয়ে অনেকেই মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
সূত্রে জানিয়েছে, ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যা মাত্র ৪৫টি। কিন্তু গত সাত দিনে গড়ে ১২০ জন ভর্তি রোগীকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
শিশু রোগীদের বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এখন শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ স্পর্শকাতর। তাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও আন্তরিক হয়ে সেবা দিতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য প্রশাসন সতর্ক আছে। বর্তমানে হাসপাতালে দ্বিগুণ রোগী থাকলেও চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি নেই।ঠাণ্ডা একটু কমলে অবস্থা স্বাভাবিক হবে। সেই পর্যন্ত শিশু ও বৃদ্ধদের ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন এই চিকিৎসক।