লাইপোমার উপসর্গ ও চিকিৎসা

0

লাইপোমা একটি নির্দোষ টিউমার যা চর্বিযুক্ত টিস্যু দিয়ে গঠিত। নরম টিস্যু টিউমারগুলোর মধ্যে লাইপোমা হচ্ছে সবচেয়ে সাধারণ ধরন। লাইপোমাগুলোতে হাত দিয়ে স্পর্শ করলে নরম অনুভূত হয়, সাধারণত নড়ানো চড়ানো যায় এবং সাধারণভাবে এগুলো ব্যথাহীন। অনেক লাইপোমা ছোট আকারের, সাধারণত এক সেন্টিমিটার ব্যাসের কম; কিন্তু কোনো কোনো লাইপোমা ছয় সেন্টিমিটারের চেয়ে বড় আকারের হতে পারে। সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সে লাইপোমা বেশি দেখা দেয়, তবে শিশুদেরও এটা হতে পারে। কারও কারও মতে লাইপোমা ক্যান্সারে রূপান্তর ঘটতে পারে।

লাইপোমার ধরন : বিভিন্ন ধরনের লাইপোমা রয়েছে, যেমন- *  অ্যানজিওলাইপোমা : ত্বকের নিচে ব্যথাপূর্ণ গোটা। লাইপোমায় অন্য সব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। *  অ্যানজিও লাইপো লিওমায়োমা : এটি অর্জিত লাইপোমা। একক। উপসর্গবিহীন গোটা। ত্বকের নিচে গোলাকার টিউমার। পরীক্ষা করলে নরম মাংসপেশি কোষ, রক্তনালি, সংযোজক কলা ও চর্বি পাওয়া যায়। * নিউরাল ফাইব্রোলাইপোমা : নার্ভ ট্রাংক বরাবর ফাইব্রো-ফ্যাটি টিস্যুর অতিরিক্ত বৃদ্ধি। নার্ভে চাপ পড়ে। *  কনড্রয়েড লাইপোমা : মহিলাদের পায়ের গভীরে হয়। শক্ত, হলুদ টিউমার। *  স্পিনডল-সেল লাইপোমা : উপসর্গবিহীন। বয়স্ক পুরুষদের পিঠ, ঘাড় ও কাঁধের ত্বকের নিচে হয়। ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। *  প্লিওমরফিক লাইপোমা : স্পিনডল-সেল লাইপোমার মতো এই লাইপোমাগুলো বয়স্ক পুরুষদের পিঠের বেশিরভাগ জায়গায় ও ঘাড়ে হয়ে থাকে। * ইন্ট্রাডার্মাল স্পিনডল সেল লাইপোমা : এই লাইপোমা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলাদের হয়। সচরাচর মাথা, ঘাড়, পেট, বুক, পিঠ এবং হাত ও পায়ে হয়ে থাকে। * হাইবারনোমা : এই লাইপোমাতে থাকে বাদামি চর্বি। লাইপোমার সবচেয়ে সাধারণ ধরন হলো ‘সুপারফিসিয়াল সাবকিউটেনিয়াস লাইপোমা,’ অর্থাৎ ত্বকে ঠিক নিচে অবস্থানকারী লাইপোমা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগুলো বুক, পিঠ, পেট, উরু এবং হাতে দেখা যায়।

লেখক : উপাধ্যক্ষ ও সহযোগী অধ্যাপক অর্থোপেডিক সার্জারি, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here