বাংলাদেশের চিরচেনা তীক্ষ দৃষ্টি সম্পন্ন বিশালাকার পাখি শকুন। বিলুপ্তপ্রায় বিরল প্রজাতির অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধারকৃত এসব শকুন এখন পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রকৃতিতে অবমুক্তির অপেক্ষায়। উত্তারাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় হিমালিয়ানসহ বিভিন্ন বিরল প্রজাতির উদ্ধারকৃত শকুন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যানে পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে আনা হয়।
এ নিয়ে শনিবার পর্যন্ত উদ্ধারকৃত বিরল প্রজাতির ৮টি শকুন এই কেন্দ্রে রয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হলে এসব উদ্ধারকৃত শকুনকে রক্ষা ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় প্রতি বছরের মার্চ-এপ্রিলের দিকে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয় বলে জানান বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যানের বনবীট কর্মকর্তা গয়া প্রসাদ।
বীরগঞ্জের সিংড়া জাতীয় উদ্যানে পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ৮ শকুনের জন্য গড়ে প্রতিদিন বয়লার মুরগী দেয়া হয়। এছাড়াও স্যালাইন পানি ও ওষুধ দেয়া হয় বলে জানায় শকুনের দেখভালের তদারককারী বেলাল হোসেন। প্রতিটি শকুনকে খাদ্য হিসেবে দু’দিন পর পর দেয়া হয় আধা কেজি বয়লার মুরগী।
বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যানের বনবীট কর্মকর্তা গয়া প্রসাদ জানান, হিমালয়ে শীতের প্রকোপ বাড়লে দল বেঁধে শকুনগুলো আসে এবং বড় বড় গাছে আশ্রয় নেয়। বিলুপ্ত প্রায় এই শকুন বিশেষ করে শীতের সময় অন্য এলাকা থেকে দিনাজপুরসহ এ অঞ্চলে অসুস্থ বা খাদ্যাভাবে ক্লান্ত অবস্থায় আসে। ঠিকমত উড়তে না পারায় সেসব শকুনকে উদ্ধার করে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের সিংড়া জাতীয় উদ্যানে পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে আনা হয়। একসময় পুরোপুরি সুস্থ হলে সেটিকে প্রকৃতিতে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রতি বছরের মার্চ-এপ্রিলের দিকে এসব শকুনকে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করে দেয়া হয়। বর্তমানে এখানে এধরনের ৮টি শকুন রয়েছে।