খাওয়ার স্যালাইনের ভালোমন্দ

0

বর্তমানকালে খাওয়ার স্যালাইন ডায়রিয়া ও কলেরার পানিশূন্যতায় চিকিৎসার পাশাপাশি আরও অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে- যেমন, একজন খেটে খাওয়া মানুষ যখন গরমে অনেকক্ষণ ধরে কাজ করতে থাকে তখন ঘামের সঙ্গে প্রচুর পানি ও লবণ তার শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়ার ফলে তার দেহেও পানিশূন্যতা দেখা দেয় এবং এ সময় খাওয়ার স্যালাইন পান করে ব্যক্তি পানি ও লবণ উভয় উপাদানই পূরণ করতে পারেন এবং স্যালাইনে বিদ্যমান গ্লুকোজ বা চিনি তাকে বাড়তি শক্তি জোগাতেও সাহায্য করে, ফলে ব্যক্তির স্বস্তি ও সুস্থতা ফিরে পাওয়াটাই স্বাভাবিক এবং তাই ঘটে থাকে।

অনেককে বলতে শুনেছি একটু দুর্বল লাগলে তারা খাওয়ার স্যালাইন খেলে বেশ সবলবোধ করেন। যদি ওই ব্যক্তি উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুস্থতাজনিত রোগে ভুগতে না থাকে এবং বয়সে তরুণ থাকেন বা ডায়াবেটিস রোগে ভুগতে না থাকেন তবে এতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হওয়াই স্বাভাবিক। অনেক প্রান্তিক পর্যায়ের চিকিৎসক রোগীর ব্লাড প্রেসার লো হলে রোগীকে খাওয়ার স্যালাইন গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করে থাকেন এটা উপরোক্ত রোগীদের বেলায় মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। কারণ আমরা জানি যারা হার্ট ফেইলুরে ভুগছেন তাদের শরীর এমনিতেই দুর্বল থাকে এবং তাদের অনেকেরই ব্লাড প্রেসার লো থাকে, তার সঙ্গে তাদের শরীরে যেমন হাত, পা ও মুখে পানি জমে ফুলে যায়। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা রোগীকে লবণ ও পানি সীমিত পরিমাণে গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করে থাকেন এবং ক্ষেত্রবিশেষে শরীর থেকে লবণ ও পানি বের হওয়ার মেডিসিন প্রেসকাইভ করে থাকেন, কাজেই এ ধরনের রোগীদের বেলায় খাওয়ার স্যালাইন গ্রহণ করা রোগীর জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।  

লেখক: চিফ কনসালটেন্ট, শমশের হার্ট কেয়ার, শ্যামলী, ঢাকা।
 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here