মঞ্চ, টিভি, ওটিটি ও চলচ্চিত্রের দাপুটে অভিনেতা-নির্দেশক তারিক আনাম খান। এ মুক্তিযোদ্ধা বেশকিছু ওয়েব ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি অমির ‘অসময়’ নিয়ে হাজির হয়েছেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
সুস্থ আছেন?
হ্যাঁ, আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো আছি।
আপনার চরিত্রটি এখানে কেমন ধরনের?
অমির এই ‘অসময়’-এ আমার চরিত্রটা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর। যার নিজের অনেক আশা-আকাক্সক্ষা নিজের পরিবার ও মেয়ে উর্বিকে নিয়ে। সেই স্বপ্নের জায়গায়টা তৈরি করার খুবই ইচ্ছা আমার; কিন্তু কিছু পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। সমাজ, মানুষ, আশপাশ মিলিয়ে তার দেখা স্বপ্নকে দুমড়ে-মুচড়ে দেয়। তার এ ক্ষোভ, ধাক্কা পুরো সমাজকে নাড়িয়ে দেয়।
সম্প্রতি কী কাজ করেছেন?
আমি শাকিব খানের সঙ্গে একটি ছবি করেছি। ওটিতে আমি শাকিব খানের বাবার চরিত্র করেছি। বাবা-ছেলের মধ্যকার জটিল সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। আমি এটি নিয়ে আশাবাদ রয়েছি। আরেকটি করছি, ধীমানের কাজ। ছেলেটি মেজবাউর রহমান সুমনের সঙ্গেই কাজ করে। চর দখল, রিফিউজিসহ বিভিন্ন বিষয় এখানে উঠে আসবে। কাজটির শুটিং শুরু করব সামনেই। এটিও ভালো একটি কাজ।
ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে?
ইন্ডাস্ট্রি কিন্তু এস্ট্যাবলিশ না। একটু সুবাতাস শুরু হয়েছে কেবল। আমার মনে হয় এ বছর থেকে আরও ডেভেলপ হবে। পরিবর্তন আসবে। প্রচুর ভিন্ন ভিন্ন ছবি তৈরি হবে আশা রাখছি।
টিভি নাটক কম করছেন। এ ইন্ডাস্ট্রির উত্তরণে কী করা প্রয়োজন?
টিভি নাটক আগের অবস্থায় নেই। আমরা বিটিভির মানুষ, নাটকের মানুষ। একটু যদি আমরা মান নিয়ন্ত্রণ করি, মার্কেট বুঝে কাজ করি, তাহলে ভালো কিছুই হবে। আমি খুবই আশাবাদী মানুষ। ভালো কিছু আশা করতেই পারি।
এত বছর পরও কি মনে হয় কেন অভিনয় করছেন?
আমার কাছে সহজ উত্তর, অভিনয় করি ভালোবাসা থেকে। নাটকে ও সিনেমায় অভিনয় এবং পরিচালনা করতে ভালোবাসি। যখন মুক্তিযুদ্ধ করি, যখন দিল্লিতে পড়ালেখা করতে যাই, তখনই ভেবেছিলাম আমার দায় আছে দেশের এবং শিল্পের প্রতি। সেই দায় থেকে একটুও সরিনি কখনো। আগামীতেও প্রিয় দেশের জন্য অনেক কিছু করে যেতে চাই।
অভিনয় শেখার স্কুল তৈরির অগ্রগতি কতদূর?
এ স্বপ্নটা এখনো আছে। আসলে জায়গা পাওয়াটাই হলো মুশকিল। তবে মনে হয় এ বছরই একটা কিছু করতে পারব।
থিয়েটারে নিয়মিত হবেন না?
একটু কাজের প্রেসার হয়ে গেছে তো, থিয়েটারটাকে যে লেভেলে নিয়ে যাওয়া দরকার সেটা কম হচ্ছে। তবে থিয়েটারটাকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে মেলানো দরকার।
সবাই নেতা হয়ে যাচ্ছে, আপনি নয় কেন?
আমার নেতা হওয়ার যোগ্যতা নাই। অভিনেতাই আছি, এই তো বেশ।