ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড বা আইএমএফের নতুন এক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সব ধরণের চাকরির প্রায় ৪০ শতাংশকে প্রভাবিত করবে।
আইএমএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেছেন, বেশির ভাগ পরিস্থিতিতে এআই সম্ভবত সামগ্রিকভাবে বৈষম্যকে আরো ভয়াবহ করবে। প্রযুক্তিকে প্রতিরোধ করতে নীতি নির্ধারকদের এই সংকটজনক প্রবণতা নিয়ে আলোচনা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয় যে, এই প্রযুক্তি স্বল্প আয়ের দেশে ২৬ শতাংশ চাকরিতে প্রভাব ফেলবে।
এই প্রতিবেদন ২০২৩ সালে গোল্ডম্যান স্যাকসের একটা প্রতিবেদনের অনুরূপ। স্যাকসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো, এআই তিনশ মিলিয়ন পূর্ণকালীন চাকরির সমান প্রতিস্থাপন করতে পারে। কিন্তুউৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন চাকরিও হতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এরই মধ্যে, নভেম্বরে ইউকের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, চাকরিতে এআই-এর প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ শিক্ষার যে সংস্কার হয়েছে তা দক্ষতার সংস্কারে আরো বেশি বৃদ্ধি করবে।
জর্জিয়েভা বলেছেন, বেশির ভাগ দেশের এআই এর সুবিধা ব্যবহারের মতো অবকাঠামো বা দক্ষ জনশক্তি নেই। সময়ের সাথে সাথে জাতিগুলোর মধ্যে এই প্রযুক্তি বৈষম্যকে আরো প্রকট করে তুলবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা