চলছে রমজান মাস। তাই পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের লীলাভূমি সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা। সৈকতের ছাতা ও বেঞ্চগুলো পড়ে রয়েছে ফাঁকা। বিরাজ করছে নীরবতা। দোকানিরা সকালে দোকান খুলে বসলেও সন্ধ্যা নামার আগেই তা বন্ধ করে দেন। সারাদিনে ক্রেতা পেতে বেগ পেতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এছাড়া সৈকতের ফটোগ্রাফার, ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী ও ফিশ ফ্রাইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও এখন বেকার সময় কাটাচ্ছেন। দর্শনীয় পয়েন্টগুলোতে পর্যটকদের আনোগেনা না থাকায় প্রকৃতি যেন মলিন হয়ে রয়েছে।
স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই পর্যটকদের ভিড়ে বুকিং থাকতো শতভাগ হোটেল-মোটেল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত ছিল কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টের পশ্চিম প্রান্তের লেম্বুরচর এবং পূর্ব প্রান্তের গঙ্গামতি সৈকতসহ দর্শনীয় স্পটগুলো। আর পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীদেরও ছিল ব্যস্ততা।
সৈকতে ফটোগ্রাফার রহমান অলস সময় কাটাচ্ছেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে একটানা পর্যটক ছিল ভরপুর। রমজানের শুরু থেকে পর্যটক নেই। তাই আমাদের কাজও নেই।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা’র (টোয়াক) সেক্রেটারি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরই রমজান মাসে পর্যটক তুলনামূলক কম থাকে। এবছরেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। পর্যটক না থাকায় অনেক হোটেল-মোটেলের কর্মচারীদের ছুটি দিয়েছে মালিক পক্ষ। তবে রোজার শেষের দিকে ঈদে এসব হোটেল-মোটেলগুলোতে অগ্রিম বুকিং শুরু হবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, পর্যটক না থাকলেও কুয়াকাটার বিভিন্ন পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম কাজ করছে।