নির্বাচনের পরই তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলো নাউরু

0

নির্বাচনের পরই তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করলো দ্বীপ রাষ্ট্র নাউরু। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চীনবিরোধী প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার দু’দিন পরই এ সিদ্ধান্ত জানাল ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশটি।

তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়ে নাউরুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বেইজিং।

নাউরুর এ পদক্ষেপকে ‘তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক নির্বাচনের বিরুদ্ধে চীনের প্রতিশোধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে তাইওয়ানিজ কর্তৃপক্ষ। কয়েক বছর ধরেই দ্বীপটির সঙ্গে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেইজিং।

নাউরু সম্পর্ক ছিন্ন করার ফলে আর মাত্র ১২টি দেশের সঙ্গে তাইওয়ানের কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকল। এগুলোর মধ্যে রয়েছে গুয়াতেমালা, প্যারাগুয়ে, মার্শাল আইল্যান্ডস প্রভৃতি।

শনিবার তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন চীনবিরোধী ও দ্বীপটির স্বাধীনতাকামী নেতা লাই চিং-তে। তাকে সমস্যা সৃষ্টিকারী এবং বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে মনে করে বেইজিং।

তাইপেইয়ের ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিয়েন চুং-কোয়াং নিশ্চিত করেছেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র নাউরু তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এবং বলেছে, তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তাইওয়ানিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এটি শুধু আমাদের গণতান্ত্রিক নির্বাচনের বিরুদ্ধে চীনের প্রতিশোধ নয়, বরং আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিয়েন দাবি করেছেন, নাউরুতে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ‘কিনে ফেলেছে’ চীন।

এদিকে, এক বিবৃতিতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ফের শুরু করার জন্য নাউরু সরকারের সিদ্ধান্ত আবারও প্রমাণ করেছে যে, ‘এক চীন নীতি’ জনগণের ইচ্ছা এবং সময়ের প্রবণতা।

তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করলেও এখন পর্যন্ত বিশ্বের মাত্র ১৩টি দেশ তাইওয়ানকে সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। চীন এখন অবধি তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের একটি বৈরী সম্পর্ক চলছে।

সূত্র : গার্ডিয়ান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here