জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার লকইর গ্রামের আয়নাল হোসেন নামে এক যুবকের সাথে কক্সবাজারের উখিয়া আশ্রয়শিবিরের এক রোহিঙ্গা নারীর বিয়ে হয়েছে। আইন অনুযায়ী বাংলাদেশিদের সাথে সরাসরি রোহিঙ্গা নাগরিকের বিয়ে বিধিসম্মত না হলেও গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারী) আয়নাল ওই রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করেন।
আয়নাল হোসেন জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার লকইর গ্রামের আব্দুল মোমেনের ছেলে। আর পাত্রী কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আয়েশা বেগমের মেয়ে রুমা আক্তার।
এ অবস্থায় সবুজ ও তার ছেলের সন্ধানে গত ৯ জানুয়ারী আয়েশা বেগম মেয়ে রুমাকে নিয়ে বানদীঘি গ্রামে এসে ধর্ম ভাই হারুনুর রশিদের বাড়িতে ওঠেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করে সবুজকে না পেয়ে হারুন, আয়েশা বেগম ও তার মেয়ে রুমাকে নিয়ে একই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের লকইর গ্রামে হারুনের ফুফাত ভাই আব্দুল মোমেনের কাছে অনুনয়-বিনয় করলে মোমেন মানবিক কারণে তার ছেলে আয়নাল হোসেনের সাথে রুমার বিয়ে দেন। বিয়ের জন্য কাবিনের প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে রুমার জন্ম সনদ সংগ্রহ করা হয় বলেও জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের একাধিক বাসিন্দা।
রোহিঙ্গা নারী রুমার মা আয়েশা বেগম বলেন, আমরা বড় অসহায় মানুষ। বিয়ে ভেঙে গেলে মেয়েটিকে নিয়ে কোথায় যাব, একটু দয়া করেন।
কনে রুমা বলেন, ‘আমাদের কি অপরাধ? আমার মত আরও ৩/৪ জন রোহিঙ্গা মেয়ের বিয়ে হয়েছে এই জয়পুরহাটে। আমরা সংসার করতে চাই।’
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী ঘটানার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সেখানে পুলিশ পৌঁছানোর আগে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মেয়েটি রোহিঙ্গা কি-না তা পুলিশের জানা নেই।