উত্তেজনা আর নানা সমীকরণের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তাইওয়ানে। যুক্তরাষ্ট্র আর চীন, দুই দেশের কাছেই কৌশলগতভাবে তাইওয়ান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীন তাইওয়ানকে নিজস্ব ভূখণ্ড বলেই দাবি করতে ভালোবাসে। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের’ পক্ষে একাট্টা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের ছেড়ে দেওয়া জায়গা নিতে নির্বাচনি দৌড়ে আছে তিন রাজনৈতিক দলের তিন প্রার্থী। ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) সদস্য সাই ২০১৬ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করার পর তার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ করছেন।
এ ছাড়া, ২০১৯ সালে গঠিত মধ্যপন্থী বিকল্প দল তাইওয়ান পিপলস পার্টির (টিপিপি) সদস্য এবং তাইপের সাবেক মেয়র কো ওয়েন-জে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী।
কয়েক দশকের সামরিক শাসনের পর তাইওয়ানে ১৯৯৬ সালে প্রথম সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন থেকে কুয়োমিনতাং ও ডিপিপি থেকেই দেশটির প্রেসিডেন্ট হয়েছে। এটি তাইওয়ানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রতি চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয় এ নির্বাচন। একজন সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন।