বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মাকে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার সকাল থেকে তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। তদন্ত কমিটির কার্যদিবস শুরুর দিনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আবারও প্রতিষ্ঠানের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তারা বিক্ষোভ শুরু করলে জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিলুফা ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে যান।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান এক শিক্ষার্থীর মাকে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার ঘটনায় সেই বিচারকের শাস্থিমূলক বদলি হয়েছে। কিন্তু সেদিনের সেই ঘটনায় প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুনও সমানভাবে দোষী। আমরা তার দ্রুত অপসারণ চাই।
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিন জানান, অভিভাবকরা আবারও প্রতিষ্ঠানের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। তারা বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলো তাদেরকে সুষ্ঠু তদন্তের কথা বলা হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে। তদন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।’
এর আগে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মাকে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগে গত ২১ মার্চ বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। তখন শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলে, বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনের মেয়ে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী, সব শিক্ষার্থীর পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার কথা থাকলেও বিচারকের মেয়ে কখনোই ঝাড়ু দেয় না। বিষয়টি নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার। গত সোমবার (২০ মার্চ) রাতে স্কুলের একটি ফেসবুক গ্রুপে সহপাঠীদের কটাক্ষ করে একটি পোস্ট লেখে বিচারকের মেয়ে। এতে কয়েকজন সহপাঠী প্রতিবাদ জানায়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।