মাত্র ৭০ জন যোদ্ধা নিয়ে ইসরায়েলে আল-আকসা ফ্লাড অভিযান শুরু করে হামাস। উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত পুরো গাজা উপত্যকা সীমান্তে আকস্মিক হামলা চালায় তারা। ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো গণমাধ্যম আশারক আল-আওসাতকে এই তথ্য জানিয়েছে।
খবর অনুসারে, হামাস যোদ্ধারা গাজা-ইসরায়েল সীমান্তের পুরু দেয়াল ভাঙতে কৌশলগতভাবে প্রস্তুত বিস্ফোরক দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। এটার মাধ্যমে তারা ইসরায়েলি সীমান্ত অতিক্রম করে। এছাড়া তারা গ্লাইডার এবং প্যারাসুট ব্যবহার করে ইসরায়েলি সেনা স্থাপনার আশেপাশে যোদ্ধাদের অবস্থান করিয়েছিল।
খবর অনুসারে, গাজার বিভিন্ন এলাকার অনেক ব্রিগেড নেতাও হামলার বিবরণ বা পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। আবার কারও কাছে তাদের কাজ কী হবে সে সম্পর্কে সীমিত তথ্য ছিল। ইসরায়েলি গোয়েন্দারা যাতে তথ্য ফাঁস না করতে পারে, তার জন্য এই গোপনীয়তা অনুসরণ করে হামাস।
হামলার সিদ্ধান্ত এবং সময় মাত্র পাঁচজন ব্যক্তি নিয়েছিলেন। তারা হলেন- গাজার হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার, আল-কাসাম ব্রিগেডের নেতা মোহাম্মদ আল-দেইফ; মোহাম্মদ সিনওয়ার (ইয়াহিয়ার ভাই)। অন্য দুই ব্যক্তি হলেন সিনওয়ারের ঘনিষ্ঠ হামাস নেতা রুহি মুশতাহা এবং আল-দেইফের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং আল-কাসাম ব্রিগেডের গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক প্রধান আয়মান নোফাল।
সূত্রের খবর, অভিযানের পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা আল-কাসেম ব্রিগেডের ইউনিটের নেতাদের সঠিক সময়ে প্রস্তুতি এবং হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন।