ঝালকাঠিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হত্যা, যা জানাল পুলিশ

0

ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাজী ফুয়াদকে (৪০) পূর্ব শত্রুতার জেরেই হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।

ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে বেশ কিছু ক্লু পেয়েছি। নিহতের পরিবারকে মামলা করতে বলেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

নিহত কাজী ফুয়াদ সিদ্ধকাঠি গ্রামের মকবুল হোসেন কাজীর ছেলে। এ ঘটনায় নলছিটি থানায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠি পুলিশ সুপার।

রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চৌদ্দবুড়িয়া  গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নলছিটি  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন ঝালকাঠি পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল।

স্থানীয়রা জানান, কাজী ফুয়াদকে অজ্ঞাত দুর্বৃৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে বাড়ির কাছের চৌদ্দবুড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রেখে পালিয়ে যায়।
কাজী ফুয়াদ জেলা পরিষদের সদস্য হানিফ মোল্লার অনুসারী ছিলেন। বেশ কিছু দিন ধরে স্থানীয়  ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সাথে হানিফ মোল্লার বিরোধ চলছিল বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। 

নিহতের বাবা মকবুল হোসেন কাজী জানান, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী গ্রুপের সাথে তার দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলে আসছিল। তারা বা তাদের সাথের লোকজন আমার ছেলের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে। তিনি নলছিটি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন। এ সময় তিনি জেলা পুলিশ সুপার মো.আফরুজুল হক টুটুলের কাছে তার ছেলে হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করেন।

সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জেসমিন কাজী বলেন, নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আমির হোসেন আমু বিজয়ী হওয়ায় আমরা বিজয় মিছিল করে দলীয় অফিসে সবাই মিষ্টি খেয়ে বাড়ি চলে যাই। ঐ মিছিলে ফুয়াদ স্লোগান ধরেছিলো। বাড়ি যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে খবর শুনি ফুয়াদকে কে বা কারা কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখেছে। সে সম্পর্কে আমার আত্মীয় হতো। তার সাথে আমার তেমন একাটা খারাপ সম্পর্ক ছিলনা। পুলিশ তদন্ত করে বের করতে পারবে কারা তাকে হত্যা করল।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here