লেবাননের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর হামলায় নিজেদের একটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ঘাঁটির ‘ব্যাপক ক্ষতি’ হওয়ার কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েল।
উত্তর ইসরায়েলের ওই ঘাঁটিতে শনিবার ভয়াবহ হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। সংগঠনটি দাবি করে, বৈরুতে হামাসের উপ প্রধান সালেহ আল-আরুরিকে হত্যার জবাব দিতে ওই হামলা চালানো হয়েছে।
হামলায় ‘ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি’ হওয়ার কথা স্বীকার করলেও সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষতির পরিমাণ জানায়টি দখলদার সেনারা। তবে হিজবুল্লাহ ওই হামলার যে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলি ঘাঁটিটির দু’টি রাডার গম্বুজে ট্যাংক-বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানছে। যে ঘাঁটির কাজই হচ্ছে ‘শত্রু বাহিনীর’ বিমান হামলা সম্পর্কে আগাম সতর্কতা সৃষ্টি ও প্রতিহত করা সেই ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানল।
রবিবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনীর সেনা মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি দাবি করেন, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ঘাঁটিটির ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করা সম্ভব।
তিনি বলেন, “আমরা আগে থেকে মেরামতের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম।”
তবে ব্যাকআপ সিস্টেমের মাধ্যমে ঘাঁটির কার্যক্রম এখনও চলছে বলে তিনি দাবি করেন।
হ্যাগারি বলেন, এরকম একটি স্পর্শকাতর ঘাঁটিতে হামলার পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর জন্য শনিবারের হামলা কীভাবে সম্ভব হল তার তদন্ত শুরু হয়েছে।
হিজবুল্লাহ শনিবারই এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, সালেহ আল-আরুরিকে হত্যার ‘প্রাথমিক জবাব’ হিসেবে ইসরায়েলের ওই বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় মেরন ঘাঁটিতে বিভিন্ন ধরনের ৬২টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের দাবি করা হয় ওই বিবৃতিতে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল