উত্তরবঙ্গের বৃহৎ দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ ক্ষেত্র, এক সময়ের ঐতিহাসিক আশুড়ার বিলে মাছ নয়, চলছে ধান চাষ। এখন সবুজের সমারোহ। আশুড়ার বিলের প্রায় অর্ধেকের বেশি জায়গা জুড়ে ধান চাষ করছে কৃষক। এ শুকনো মৌসুমে বিলে ধান চাষ আর বর্ষাকালে মাছ চাষ হয়।
এই অবস্থায় ঐতিহাসিক আশুরার বিলে পানি ধরে রাখতে বাঁধসহ একটি ক্রসড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে। তবে বাঁধ সংস্কারের পাশাপাশি বিলে খনন করা হলে সারা বছরই পানি থাকবে এবং জীববৈচিত্র রক্ষা পাবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে, বাসটেক গ্রামের মোঃ আজাদসহ কৃষকেরা জানায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মৌসুমে কম খরচেই এক একরে ১১০ মণ ধান পাওয়া যাবে আশা করি। এখানে কম খরচে ধানের ফলন ভাল হয়।
জানা যায়, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে সরকার ঘোষিত জাতীয় উদ্যান শালবনের কোল ঘেষে এ বিলের অবস্থান। উত্তরবঙ্গের বৃহৎ এ বিলটি লম্বায় ৫ কিলোমিটার।
ঐতিহাসিক আশুড়া বিল রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমান জানান, আশুড়ার বিলে জীববৈচিত্র রক্ষা করতে এবং সারা বছর পানি ধরে রাখতে খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এক মিটার গভীর ও একশ মিটার প্রস্থ খনন করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এই খনন কাজ করবে। আগামী জুনের মধ্যে খনন কাজ শুরুর কথা রয়েছে। খনন করা হলে হারিয়ে যাওয়া অনেক প্রজাতির মাছও পাওয়া যাবে।