কুয়াশায় ফসলে নানা রোগ

0

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ঘনকুয়াশায় কৃষি খেতে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই। আলু, মরিচ, পিঁয়াজসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এসব ফসল কুকড়ে যাচ্ছে। বাগানের চা পাতাও কুকড়ে যাচ্ছে। এতে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন চাষিরা। কুয়াশায় সৃষ্ট রোগ থেকে ফসল বাঁচাতে অতিরিক্ত সার কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে, বলছেন তারা। ফলে ফসল আবাদে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।

যদিও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, শীতকালীন ফসলের জন্য এ শীত উপকারী। এ ছাড়া ঘনকুয়াশায় নানা রোগবালাই সৃষ্টি হলেও ফসল সজিব রাখতে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা নাইমুল হুদা জানান, শীতে শাকসবজি, গম, বাদামসহ অন্যান্য ফসল আবাদে খুবই উপকারী। তবে কিছু ফসলের জন্য কুয়াশা ক্ষতিকারক।

তারা বলছেন, তীব্র ঠান্ডায় হাত পা জড়ো হয়ে আসে। সময় মতো কাজে যেতে পারছে না তারা। গ্রামীণ এলাকায় খরখুটো জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপ নিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। দরিদ্র মানুষ রয়েছে শীতের কাপড়ের সংকটে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত নানা রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতিদিন হাসপাতালে রোগীর ভিড় বাড়ছে। পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে বারান্দাতেই বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তরা। 

শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ মনোয়ার হোসেন জানান, ঠান্ডায় শিশুরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি-জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতালে জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশসল শাহ জানান, দীর্ঘক্ষণ কুয়াশা থাকার কারণে সূর্যের আলো মাটিতে প্রবেশ করতে পারছে না। হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাসের তীব্রতায় ঠান্ডার মাত্রা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এ মাসে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here