ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সাবেক প্রধান কাশেম সোলাইমানির সমাধিস্থলের কাছে জোড়া বোমা হামলায় অন্তত ১০৩ জন নিহত হয়েছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কেরমানে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে লেখা এক চিঠিতে পুতিন বলেন, কবরস্থানে আসা শান্তিপূর্ণ মানুষদের হত্যা মর্মান্তিক নিষ্ঠুরতা ও নিন্দনীয়।
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে যুদ্ধের মেঘ
আল জাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলছেন, কয়েক দিন ধরে আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়ার পর মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ‘যুদ্ধের কালো মেঘ’ জমেছে।
তিনি বলেন, এই অঞ্চলে এখন যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে। এখানে অনেক সহিংসতা, এত উত্তেজনা, এত সংঘাত এবং অনেক কিছু চলমান রয়েছে। লোহিত সাগর থেকে শুরু করে ইরান-ইরাকি সীমান্ত, ইয়েমেন, উপসাগর; মূলত এই অঞ্চলের সর্বত্র এখন আরও উত্তেজনা বাড়ানোর প্রার্থী।
হামলায় জড়িত কারা?
তেহরান ইউনিভার্সিটির মিডল ইস্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক হাসান আহমাদিয়ান বলেছেন, অতীতে আইএস দেখিয়েছে যে তারা এ ধরনের হামলা করতে ইচ্ছুক (বিপুল সংখ্যক বেসামরিক লোককে হত্যা করা)। আবার ইসরায়েল হয়তো ইরানের বিরুদ্ধে উত্তেজনা বাড়াতে চাচ্ছে যাতে তেহরান এমন কিছু করতে বাধ্য হয় যা যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের বিরুদ্ধে (সংঘাতের) দিকে টেনে নিয়ে যাবে। এগুলোর সবই সম্ভাবনা আছে।