একটা আক্ষেপ নিয়েই হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিচ্ছেন ডিন এলগার। প্রায় এক যুগের ক্যারিয়ারে সুযোগ হয়নি কোনো বিশ্বকাপে খেলার। ২০১২ সালে অভিষেকের পর ওয়ানডে খেলতে পেরেছেন মোটে ৮টি, টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকই হয়নি। তবে টেস্টে শুরু থেকেই নিয়মিত বাঁহাতি এই ওপেনার। এবার বিদায় বেলায় তিনি বললেন, সাদা পোশাকের ক্রিকেটই তার বিশ্বকাপ।
কেপ টাউনে আজ বুধবার শুরু হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের দ্বিতীয় টেস্ট। এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন এলগার। ঘটনাচক্রে নিজের বিদায়ী ম্যাচে অধিনায়কত্বও করবেন ৩৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্ট ইনিংস ব্যবধানে জিতে সিরিজে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। কেপ টাউনে পরাজয় এড়ালেই ট্রফি নিজেদের করে নেবে তারা। তবে কেবল জয়ের কথাই ভাবছেন এলগার। নিজের শেষ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, টেস্ট সিরিজ জয় সবকিছুর উপরে।
এলগারের ২০১২ সালে শুরু করা ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটবে ৮৬ টেস্ট খেলে। এই সংস্করণে ৫ হাজার রান করা দক্ষিণ আফ্রিকার আট ব্যাটসম্যানের একজন তিনি। কেপ টাউনে ১৬৭ রান করতে পারলে মার্ক বাউচারকে টপকে সাত নম্বরে থেকে বিদায় নেবেন এলগার। এছাড়া এখন পর্যন্ত ১৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন এলগার। কেপ টাউনে সংখ্যাটি বাড়বে আরও এক। টেস্টে এর চেয়ে বেশি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্রেফ চার ক্রিকেটার।
শেষ ম্যাচে এলগারের সামনে অধিনায়কত্বের সুযোগ আসে টেম্বা বাভুমার চোটে। প্রথম ম্যাচের প্রথম দিনই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান বাভুমা। ম্যাচের বাকি অংশে এলগারই দায়িত্ব পালন করেন। দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সবময়ই বাড়তি অনুপ্রেরণার এলগারের কাছে। তবে স্রেফ একাদশের একজন হিসেবে খেললেও নিজের সেরাটা দেওয়া থেকে পিছপা হন না তিনি।
এলগার বলেন, আমার মনে হয় না, অধিনায়কত্ব পাওয়ার চেয়ে বড় সম্মানের কথা আপনি ভাবতে পারেন। অতীতে আমি দেড় বছর বা যত দিনের জন্যই অধিনায়কত্ব করেছি, ব্যক্তিগত দিক থেকে আমার সবচেয়ে বড় শেখার সুযোগ ছিল সেটি। শুধু ক্রিকেটীয় দিক থেকে নয়, মাঠের বাইরের বিষয়েও। অধিনায়কত্ব করি বা এমনিই খেলি, আমি সবসময় নিজের শতভাগ দেই। এই ম্যাচেও আমি একই মানসিকতা নিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে বিষয়টা হলো তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য সঠিক পথ দেখানো। আশা করি তারা সেটি ধরতে পারবে।