রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে এক শিশু। সোমবার এ হামলার ঘটনা ঘটে। এদিন সন্ধ্যায় আহত শিশুকন্যাকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় ফেসবুক লাইভে হামলার বর্ণনা দেন বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকের বোন বেবি আক্তার ও তার সহযোগী শাফিনুর নাহারসহ কয়েকজন আমার বাড়ির পাশে এসে আমার শিশু কন্যাকে মারধর করে।’ খোরশেদ আলম বলেন, ‘এমপি এনামুলের ১৫ বছর রাজনীতি করেছি। তিনি শিক্ষা দিয়েছেন যে, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বাইরে কাউকে না যেতে। তিনি আমাদের নৌকার বিপক্ষে না যাওয়ার জন্য শপথও করিয়েছেন। আমরা নৌকার বাইরে যেতে পারিনি। তিনি নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করছেন। এই ক্ষোভে তিনি মহিলা সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমার মেয়ের ওপর হামলা চালিয়েছে।’
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আগে এমপি এনামুল ভেবেছিল সে এবারও নৌকা প্রতীক পাবে। এজন্য তিনি ওই সময় দলীয় নেতাকর্মীদের শপথ করিয়েছিলেন যে, নৌকার বাইরে আপনারা কেউ যাবেন না। নেতাকর্মীরা হাত তুলে শপথ করেছিলেন। এখন যখন এনামুল নৌকা পাননি তখন নেতাকর্মীরা স্বভাবতই নৌকার পক্ষে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এতে উনি ক্ষেপে গিয়ে নৌকার পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে। বাগমারাকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক জানান, ‘আমার কর্মী-সমর্থকরা কারও উপর হামলা করেছে- এটি সত্য নয়। বরং একের পর এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপরই কালামের সমর্থকরা হামলা চালাচ্ছে।’