স্কুল জীবনে সহপাঠীকে ভালোবসে ফেলেছিলেন। তাকেই বিয়ে করার জন্য লিঙ্গ পরিবর্তন করেছিলেন। নতুন নাম নিয়ে বান্ধবীর সঙ্গে মেলামেশা শুরু করেন। কিন্তু বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না বান্ধবী। বিয়ে করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এতেই খেপে গিয়ে সহপাঠীকে তার জন্মদিনে ব্লেড দিয়ে হাত, কাঁধ কেটে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে নৃশংসভাবে খুন করেন ভারতের দক্ষিণ চেন্নাইয়ের থালাম্বুরের যুবক পান্ডি মুরুগেশ্বরী ওরফে ভেত্রিমারণ।
শনিবার নৃশংস এ ঘটনাটি ঘটে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্কুলে পড়াশোনার সময় থেকে নন্দিনীর প্রতি আকর্ষণ অনুভব করতেন মুরুগেশ্বরী। পুলিশ জানিয়েছে, লিঙ্গ পরিবর্তনের পর ভেট্রিমারানের সঙ্গে নন্দিনী সম্পর্কে যেতে রাজি হয়নি। স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তিতে বিএসসি ডিগ্রি নেন নন্দিনী। এরপর গত আট মাস আগে চেন্নাইয়ের একটি সংস্থায় চাকরি পাওয়ার পর মামার বাড়িতেই থাকতেন নন্দিনী। গত ২৪ ডিসেম্বর ছিল তার জন্মদিন। ওইদিন ভেট্রিমারান ফোন করে নন্দিনীকে দেখা করতে বলেন।
সূত্র : দ্য ওয়াল।