ফের আইসিসির তোপের মুখে পড়লেন উসমান খাওয়াজা

0

ফিলিস্তিন নিয়ে বার্তা দেওয়ার নতুন পথ খুঁজছিলেন উসমান খাওয়াজা। কিন্তু আইসিসির বাধায় ভেস্তে গেল সেই চেষ্টা। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থাটি খারিজ করে দিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের একটি ঘুঘুর মুখে জলপাই শাখার ছবি দেখানোর আবেদন।

গাজার মানবিক সঙ্কট নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই খেলার মাঠে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন খাওয়াজা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) থেকে অনুমতি মিললেও বাধা দিচ্ছে আইসিসি। পাকিস্তানের বিপক্ষে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) এমসিজিতে শুরু হবে বক্সিং ডে টেস্ট। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ সামনে থেকে এওবিবার (২৪ ডিসেম্বর) অনুশীলন সেশনে নিজের ডান জুতা ও ব্যাটের পেছনে ওই লোগো দেখান খাওয়াজা।

অনুশীলনে এই বার্তা দেখানোর আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের অনুমতি নিয়েছিলেন খাওয়াজা। সেই একই জিনিস টেস্ট ম্যাচে দেখানোর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আইসিসি। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে সংস্থাটির একজন মুখপাত্র এই কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, এই ধরনের ব্যাক্তিগত বার্তা পোশাক ও সরঞ্জামের নিয়মের ‘এফ’ ধারা অনুযায়ী অননুমোদিত। যা আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে পাওয়া যাবে।

তবে খেলার মাঠের বাইরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ভিন্ন মঞ্চে মানবাধিকার, শান্তি ও সমতা নিয়ে বার্তা দিয়ে যাওয়ার জন্য খাওয়াজাকে উৎসাহই দিয়েছে আইসিসি। এরই মধ্যে খাওয়াজার বিরুদ্ধে এই এফ ধারা ভঙ্গে অভিযোগ এনেছে আইসিসি। সেটিকে চ্যালেঞ্জ করবেন এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। তার দাবি, ব্যক্তিগত শোকের ঘটনায় পার্থ টেস্টে বাহুতে কালো ফিতা বেঁধে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। ৩৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান নিশ্চিত করেন, পরের টেস্টে তার হাতে কালো ফিতা থাকবে না।

পাকিস্তানের বিপক্ষে পার্থ টেস্টে কালো ফিতা লাগিয়ে মাঠে নামার আগে খাওয়াজার পরিকল্পনা ছিল বিশেষ কেডস পায়ে চাপিয়ে খেলার। তার ব্যাটিং বুটে লেখা ছিল ‘সব জীবনের মূল্য সমান’ এবং ‘স্বাধীনতা একটি মানবাধিকার।’ অনুশীলনে তিনি এই কেডস পরার পর তুমুল তোলপাড় পড়ে যায়।

খাওয়াজার কেডস আইসিসির নজরে পড়ে এবং তাকে পোশাকের নীতিমালা মনে করিয়ে দেওয়া হয় যে, কোনো রাজনৈতিক বার্তা সম্বলিত কিছু পরে ক্রিকেটাররা মাঠে নামতে পারবেন না। খাওয়াজা শেষ পর্যন্ত ওই কেডস পরে খেলেননি। তবে টেস্ট শুরুর আগে একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন যে, তার বার্তাটি রাজনৈতিক কিছু ছিল না, বরং ছিল মানবাধিকারের পক্ষে। আইসিসির সঙ্গে এটা নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here