অ্যাঙ্গোলার ওপেক ছাড়ার সিদ্ধান্তে ফের কমল তেলের দাম

0

তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক  ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাঙ্গোলা। সম্প্রতি দেশটির তেলমন্ত্রী ডায়ামান্টিনো আজেভেদো রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ২০০৭ সালে ওপেকের সদস্য হয় অ্যাঙ্গোলা। প্রতিদিন প্রায় ১১ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশটি। 

অ্যাঙ্গোলার ওপেক ছাড়ার সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক বাজারে ফের হ্রাস পেয়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। জানা গেছে, অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার চাঙা রাখতে তেল উত্তোলন ও রপ্তানিকারী দেশগুলোর জোট ওপেক গত কয়েক মাস ধরে তেলের উত্তোলন হ্রাসের যে পদক্ষেপ নিয়েছে- মূলত সেটিই অ্যাঙ্গোলার এই সিদ্ধান্তের প্রধান কারণ।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে প্রতি ব্যারেল ( ১ ব্যারেল= ১৫৯ লিটার) ব্রেন্ট ক্রুড তেল ৭৯ দশমিক ৩৯ ডলারে এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেল ৭৩ দশমিক ৮৯  ডলারে বিক্রি হয়েছে।

কিন্তু অ্যাঙ্গোলার সিদ্ধান্ত প্রচারিত হওয়ার পর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উভয় বেঞ্চমার্কের দাম প্রতি ব্যারেলে কমেছে ১ ডলার করে।

প্রসঙ্গত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, ইরান, অ্যাঙ্গোলা, ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডর, কঙ্গো, নাইজেরিয়াসহ জ্বালানি তেল উত্তোলন ও রপ্তানিতে শীর্ষে থাকা বিশ্বের ১৪টি দেশের জোট অর্গানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম একপোর্টিং কান্ট্রিজ বা ওপেক। পরে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও রপ্তানি বাণিজ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ রাশিয়া এই জোটের সদস্য হওয়ার পর সংস্থার নতুন নাম হয় ওপেক প্লাস।

গত অক্টোবরে জোটগতভাবে তেলের দৈনিক উত্তোলন ১০ লাখ ব্যারেল বা তারও বেশি হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নেয়; অর্থাৎ শতাংশ হিসেবে নিজেদের সক্ষমতার নিরিখে এক শতাংশ কম তেল উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেয় ওপেক।

পরবর্তীতে একাধিক দফায় তেলের উত্তোলন আরও কমানো হয়। বর্তমানে জোটের ১৪টি দেশ প্রতিদিন ২ কোটি ৮০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোরণ করছে এবং তার মধ্যে ১১ লাখ ব্যারেল তেলের যোগান আসছে অ্যাঙ্গোলার বিভিন্ন খনি থেকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here