সাত উইকেটের বড় জয়ে সিরিজ নিউজিল্যান্ডের

0

বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ২৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করে নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার রাচীন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং মিলে ঝড়ো শুরু এনে দিয়েছেন দলকে। শেষ পর্যন্ত জয়টাও তুলে নিয়েছে তারা। নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

এদিন ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২২ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ১৫১ বলে ১৬৯ রান করেন সৌম্য। কিন্তু বাংলাদেশ অলআউট হয় ২৯১ রানে। পরে জবাব দিতে নেমে ২২ বল আগেই জয় পায় কিউইরা। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল স্বাগতিকরা।

৪৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তরুণ তাওহীদ হৃদয় সঙ্গী হন সৌম্য সরকারের। তাদের দু’জনের জুটিতে ধীরে ধীরে বড় হচ্ছিল রান। কিন্তু এবার দুর্ভাগ্যই সঙ্গী হয় বাংলাদেশের। ক্লার্কসনকে স্ট্রেইট ড্রাইভ করেন সৌম্য। সেটি বোলারের আঙুল ও ট্রাউজার ছুঁয়ে যায় নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্পে।  

ক্রিজে ছেড়ে এগিয়ে থাকা হৃদয় আউট হয়ে যান ১৬ বলে ১২ রান করে। তবে একপ্রান্তে ঠিকই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য। শেষ অবধি এসে একজন ভালো সঙ্গীও পেয়ে যান তিনি। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে মিলে দলের বিপর্যয় সামাল দেন সৌম্য। এ দু’জনের জুটিতে ১০৮ বলে আসে ৯১ রান।  

৫৭ বলে ৪৫ রান করে মুশফিক উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে এই জুটি ভাঙে। পরে সঙ্গী বদলালেও সৌম্যর রানের গতি থামেনি। ২০১৮ সালের পর প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। সবমিলিয়ে ক্যারিয়ারে এটি তার চতুর্থ সেঞ্চুরি।

ছোট মাঠ আর ব্যাটিং উইকেটে রান তাড়ায় নেমে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি নিউজিল্যান্ডকে। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ৬১ রান করে নিউজিল্যান্ড, হারায়নি কোনো উইকেট। ঠিক পরের ওভারে এসেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন হাসান মাহমুদ। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ বলে ৪৫ রান করে আউট হন রাচিন রবীন্দ্র।

পরের উইকেট বাংলাদেশ যতক্ষণে পায়, ততক্ষণে ম্যাচের মোড় ঘুরে গেছে পুরোপুরি। ১২৮ রানের জুটিতে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন হেনরি নিকোলস ও উইল ইয়াং। আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ইয়াং এদিন পুড়েন সেঞ্চুরি আক্ষেপে। তাকেও ফেরান হাসান মাহমুদ। ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৯৪ বলে ৮৯ রান করেন ইয়াং।

ইয়াংয়ের সঙ্গী নিকোলসও অল্পের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। সেঞ্চুরি থেকে কেবল ৫ রান দূরে থাকতে শরিফুল ইসলামের বলে রিশাদ হোসেনকে ক্যাচ দেন তিনি। কেউই সেঞ্চুরি করতে না পারলেও জিততে কোনো সমস্যা হয়নি কিউইদের। কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম (৩৪*) ও উইকেটকিপার-ব্যাটার টম ব্লান্ডেল (২৪*) মিলে বাকি পথ অনায়াসেই পাড়ি দেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here