অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার করবে আমেরিকার টেক্সাস

0

বিশ্বের অনেক দেশের নাগরিক বসবাস করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তাদের অনেকেই অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এই দেশটিতে প্রবেশ করেছেন। তবে এমন অভিবাসীদের গ্রেফতার করার পদক্ষেপ নিচ্ছে আমেরিকার টেক্সাস অঙ্গরাজ্য।

মূলত ফেডারেল সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতারে আইন প্রণয়ন করেছে মার্কিন এই অঙ্গরাজ্যটি।

টেক্সাসের রিপাবলিকান গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট বলেছেন, এই আইন ‘টেক্সাসে অবৈধভাবে প্রবেশের উত্তাল ঢেউ বন্ধ করবে’। অবশ্য অভিবাসনের সমর্থকরা বলেছেন, এই আইনটি জাতিগত বিদ্বেষের সৃষ্টি করবে।

ক্রমবর্ধমান অবৈধ অভিবাসন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সীমান্ত নীতির বিষয়ে জনসাধারণের উদ্বেগের মধ্যেই টেক্সাসের এই পদক্ষেপ সামনে এল।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বলছে, টেক্সাসের প্রণয়ন করা নতুন এই আইন কিছুটা বিতর্কিত, কারণ মার্কিন আদালত আগেই রায় দিয়েছে যে, শুধুমাত্র ফেডারেল সরকার অভিবাসন আইন প্রয়োগ করতে পারে। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করা যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই ফেডারেল অপরাধ হিসেবে পরিগণিত হয়। তবে এই ধরনের অপরাধ বর্তমানে ইমিগ্রেশন আদালতে দেওয়ানী মামলা হিসাবে পরিচালিত হয়ে থাকে।

এসবি৪ নামের এই আইনটি আগামী বছরের মার্চে কার্যকর হতে চলেছে। গত নভেম্বরে টেক্সাসের রিপাবলিকান-নেতৃত্বাধীন আইনসভার উভয় হাউসে এটি পাস হয়। বাস্তবে এই আইনটি স্কুল এবং হাসপাতাল ছাড়া অন্য সকল স্থানে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করেছে বলে সন্দেহভাজন যে কাউকে থামাতে এবং গ্রেফতার করার ক্ষমতা দেবে পুলিশকে।

এই অপরাধে সম্ভাব্য শাস্তির মধ্যে কারাদণ্ড বা ২ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। এছাড়া গ্রেফতারকৃতদের সীমান্ত পেরিয়ে মেক্সিকোতে ফেরত পাঠানোর আদেশও দিতে পারেন বিচারক।

যদিও টেক্সাস কর্তৃপক্ষ কীভাবে সেই বিধানটি কার্যকর করার পরিকল্পনা করছে তা স্পষ্ট নয়। এছাড়া অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে পুনঃপ্রবেশের শাস্তি হিসেবে ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ওই অভিবাসীর অভিবাসন এবং অপরাধমূলক অতীত ইতিহাস বিবেচনায় নেওয়া হবে। সূত্র: টেক্সাস ট্রিবিউন, নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here