আসাদ শফিকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার থমকে আছে তিন বছরের বেশি সময় ধরে। খেলছিলেন শুধু ঘরোয়া ক্রিকেটে। এবার সবকিছুর সমাপ্তি। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
পাকিস্তানের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে রোববার অ্যাবোটাবাদকে হারিয়ে শিরোপা জেতে শফিকের নেতৃত্বাধীন করাচি হোয়াইটস। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে অবসরের কথা জানান ৩৭ বছর বয়সী শফিক। শিগগিরই পাকিস্তানের নির্বাচক কমিটিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
মিসবাহ-উল-হাকের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান টেস্ট দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন শফিক। মিসবাহ, ইউনিস খান, আজহার আলি, শফিককে নিয়ে গড়ে উঠেছিল পাকিস্তানের শক্তিশালী মিডল অর্ডার। যাদের হাত ধরে এসেছিল দারুণ সব সাফল্য। ২০১৬ সালের অগাস্টে পাকিস্তান ওঠে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে।
টেস্টে ৩৮.১৯ গড়ে শফিকের রান ৪ হাজার ৬৬০। বেশিরভাগ টেস্ট তিনি খেলেছেন ছয় নম্বরে। তার ১২ সেঞ্চুরির ৯টিই এসেছে ছয় নম্বরে, এই পজিশনে যা কারও রেকর্ড। ২০১৬ সালে গ্যাবায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রান তাড়ায় ১৩৭ রানের ইনিংস খেলে তিনি ছাড়িয়ে যান ছয় নম্বরে গ্যারি সোবার্সের ৮ সেঞ্চুরিকে।
২০১০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ৬০ ওয়ানডেতে শফিকের রান ১ হাজার ৩৩৬। ১০ টি-টোয়েন্টিতে রান ১৯২।