অভ্যন্তরীণ বাজারে পিয়াজের সংকট দেখিয়ে ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় দেশের মতো দিনাজপুরের হিলিতে অস্থিতিশীল হয়ে উঠে পিয়াজের বাজার। তবে দেশীয় নতুন পিয়াজ উঠতে শুরু করায় ও সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। এতে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ। অচিরেই পুরনো এলসির পিয়াজগুলো দেশে আসবে। এতে সামনের দিনে দাম আরও কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষেণের বাজার মনিটিং শেষে হিলি পানামা পোর্টে পিয়াজ আমদানিকারকদের সাথে আলোচনা করেন দিনাজপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষেণের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম। এসময় নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মশফিকুর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম, পোর্ট এর জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক, পিঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে হিলি খুচরা বাজারে কেজি প্রতি পিয়াজ প্রকারভেদে কমেছে ৩০ টাকা। দেশি মুড়িকাটা একটু খারাপ মানের পিয়াজ ১০০ টাকা, আর একটু ভালো মানের পিয়াজ ১১০টাকা এবং দেশি শুকনো পিয়াজ ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা গুড় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংরক্ষণ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকায় এক গুড় ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম রুনি।
উপজেলার চারমাথা মোড়ে পূজা খাদ্যভান্ডার নামের গুড়ের গুদামে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় দিনাজপুর জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মশফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।