আখাউড়ায় হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্যালাইন সংকট

0

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  প্রতিদিনই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। এদিকে ডায়রিয়া রোগী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে  সংকট দেখা দিয়েছে কলেরা স্যালাইনের।

সোমবার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রোগীদের স্যালাইন পুশ করা হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ স্যালাইনই বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রোগীদের দেওয়া হচ্ছে না কোনো কলেরা স্যালাইন। তাছাড়া অনেক জরুরি প্রয়োজনীয় ওষুধও বাহির থেকে কিনে আনতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের।

উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের টনকি গ্রামের জুয়েল মিয়া তার দুই বছর বয়সী ছেলে রোজাইফা গত ৪ দিন আগে বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হলে হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভর্তি হওয়ার পর থেকে প্রয়োজনীয় বেশির ভাগ ওষুধই হাসপাতালের ডাক্তারদের দেওয়া স্লিপের মাধ্যমে বাহির থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। স্যালাইনও হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে না। তার অভিযোগ ফার্মেসি থেকে বেশি দামে তাকে কলেরা স্যালাইন কিনতে হচ্ছে।

একই অভিযোগ পাশের বেডে থাকা একই ইউনিয়নের কর্মমট এলাকার ১৪ মাস বয়সী ইব্রাহিমের স্বজনদের। তারা বলছে গত তিনদিনে তিনটি স্যালাইন কিনে এনে দিয়েছে। ফার্মেসিতেও সংকটের অজুহাতে স্যালাইনের দাম বেশি রাখা হচ্ছে।

সদর উপজেলার চান্দি গ্রামের হৃদয় মিয়া বলেন, তার আড়াই বছরের বাচ্চা হঠাৎ করে গত রবিবার বিকেলে বমি করে। পরে সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর কয়েকবার পাতলা পায়খানা করে। কিছু ওষুধ হাসপাতাল থেকে পাওয়া গেছে। তবে স্যালাইনের স্বল্পতা থাকায় বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে।

আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. হিমেল খান বলেন, শীতের আগমনে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আক্রান্তের বেশির ভাগই শিশু। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। আমাদের এখানে কলেরা স্যালাইন নেই বললেই চলে। ইতিমধ্যে আমরা স্যালাইনের চাহিদা দিয়েছি। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here