কুমিল্লার চান্দিনা পৌর এলাকার একটি গ্রাম হারং। এ গ্রামের ৩০ পরিবার পান চাষে জড়িত। একই উপজেলার মহিচাইল ও কংগাই গ্রামের ২০০ পরিবারের পেশা পান চাষ।
তাদের মাতা কুমিল্লার ছয়টি উপজেলার দেড় হাজারের বেশি পরিবার পান চাষে জড়িত। এসব পরিবারের পান চাষের ঐতিহ্য শত বছরের বেশি। পান চাষেই তাদের পরিবারে এসেছে সমৃদ্ধি।
সরেজমিন হারং গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পাশে সবুজ বরজ। ভোর থেকেই বরজে চাষিদের ব্যস্ততার শুরু। কেউ পান গাছ কাঠির সঙ্গে খড় দিয়ে বাঁধছেন। কেউ পান তুলছেন। কেউ তোলা পান বাছাই করছেন।
হারং গ্রামের চাষি নিমাই চন্দ্র দত্ত বলেন, শত বছর ধরে তার পরিবার পান চাষ করেন। তিনি দুই একর জমিতে পানের চাষ করেছেন। একটি গাছ থেকে তিনি ৩০ বছরও ফসল পেয়েছেন। এ এলাকায় মহালনি পান চাষ বেশি হয়। অল্প পরিমাণে চাষ হয় গয়াসুর পান। বড় পান ২৩০ টাকা বিড়া (৯৬টি) পাইকারি বিক্রি করেছেন। মাঝারি পানের বিড়া ১২০ এবং ছোটগুলোর বিড়া ৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন।
তিনি বলেন, পান চাষে তাদের পরিবারে সমৃদ্ধি এসেছে। বাঁশ, খড়, সার, বীজের দাম বেড়েছে। এখন লাভ কম হচ্ছে। চান্দিনা বাজারের পান ক্রেতা গোপাল দত্ত বলেন, বারুই সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি পান চাষ করেন। এ অঞ্চলের বড় পান বাজার চান্দিনা। তিনি পান কিনে পাশের রামমোহন বাজারে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করেন।
পাইকারি ক্রেতা লিটন চন্দ্র পাল বলেন, জেলায় প্রতিদিন ১০ হাজার বিড়া পানের চাহিদা রয়েছে। উৎপাদন হচ্ছে ৬ হাজার বিড়া। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, মাঠ কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শসহ বিভিন্ন কারিগরি সহযোগিতা দিয়ে থাকেন।