ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মস্কোতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
রাইসির সঙ্গে বৈঠকে পুতিন বলেন, গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের সংঘাত যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক ব্যর্থতা। তিনি মনে করেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার সংঘাতের ক্ষেত্রে মস্কো মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে পারে।
একজন দোভাষীর সহযোগিতা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন রাইসি। তিনি বলেন, ফিলিস্তিন ও গাজায় যা ঘটছে তা অবশ্যই গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ। রাইসি পুতিনকে বলেন, এটি শুধু আঞ্চলিক ইস্যু নয়, পুরো মানবজাতির ইস্যু। এর দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করা জরুরি
গাজার শাসনক্ষমতায় থাকা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে সমর্থন করে ইরান। হামাস, ইসরায়েলসহ মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির সব মূল খেলোয়াড়ের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক আছে। অক্টোবরে মস্কোতে হামাসের প্রতিনিধিদলের সফরকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ হয় ইসরায়েল।
বুধবার মধ্যপ্রাচ্যে এক দিনের বিরল সফরে যান পুতিন। এ সময় তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব সফর করেন। ২০২২ সালের জুলাইয়ের পর এটি ছিল পুতিনের প্রথম মধ্যপ্রাচ্য সফর। তখন তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
ইউক্রেন থেকে শিশুদের বিতাড়িত করার অভিযোগে গত মার্চে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ওই পরোয়ানা জারির পর পুতিন উত্তর কোরিয়া, ইরানসহ হাতে গোনা কয়েকটি দেশে সফর করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার মতো ইরানকেও শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে সামরিক সরঞ্জাম দেওয়ার মতো সক্ষমতা ইরানের আছে। ইউক্রেন যুদ্ধে ইতিমধ্যে ইরানের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করেছে রাশিয়া।
মস্কো ও তেহরানের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। তাদের দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তেহরান।