পর্যটন শিল্পকে আরো বিকশিত করতে কুয়াকাটায় শুরু হচ্ছে ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল কুয়াকাটা’। শুক্রবার থেকে দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে নতুন সাজে সাজানো হয়েছে সৈকত এলাকা। প্রস্তুত করা হয়েছে প্যান্ডেল। তৈরি করা হয়েছে ৬০টি স্টল। এসব স্টলে কুয়াকাটার ইতিহাস ঐতিহ্য ও বিভিন্ন পন্যের পসরা ফুটিয়ে তোলা হবে। পর্যটকরা জানতে পারবে আদি ইতিহাস। এছাড়া এ উৎসব উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হবে রাখাইনদের কালচারাল অনুষ্ঠান, পুতুল নাচ, বাউল গান, ঘুড়ি ও ফানুস উৎসব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মুজিব’স ক্যাম্পেইনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আইকনিক, ডেস্টিনেশন, সংস্কৃতি ঐতিহ্যকে বিশ্ববাসী ও বাংলাদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য বরিশাল বিভাগের সাগরকন্যা কুয়াকাটায় বিজয়ের মাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল কুয়াকাটা’। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এর আয়োজন করে। বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল কুয়াকাটাকে সামনে রেখে পর্যটন নির্ভর সকল ব্যবসায়ীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন টোয়াকের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ২ দিনব্যাপী এই ফ্যাস্টিভ্যালে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসবকে সামনে রেখে কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা অনেকটা উৎফুল্ল। ট্যুর অপারেটররা এই অনুষ্ঠান সফল করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি।
হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, আমরা পর্যটকদের সুযোগ সুবিধার প্রধান্য দিয়ে থাকি। এ উৎসবকে ঘিরে হোটেল মোটেল ২০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিচ ম্যানেজমেন্টের সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য বাংলাদেশ। সোনার বাংলায় পর্যটনকে প্রসারিত করতে চলছে মুজিব’স বাংলাদেশ ক্যাম্পেইন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের ট্যুরিজমকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় দুই দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল কুয়াকাটা’। এ অনুষ্ঠানকে সফল করতে ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তিতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।