মানসিক চাপ এড়াতে পারেন যেভাবে

0

প্রতিনিয়তই মানুষকে শরীরের পাশাপাশি মনের সাথেও লড়তে হয় ভীষণ। নানা রকম ব্যস্ততায় বাড়ে মানসিক চাপ। দেহের মতো মনেও হরেক অসুখ বাসা বাঁধে। আর সেই অসুখের দিক নজর না দিলে একসময় ডেকে আনতে পারে বড় বিপর্যয়। তাই মানসিক চাপ কমানোর কৌশলটা এই ব্যস্ত সময়ের মানুষদের রপ্ত করতে হবে আগেভাগেই। 

বিশেষজ্ঞদের মতে মানসিক চাপ একা একা কমানোর চেষ্টা না করাই ভালো। বন্ধু-বান্ধব, পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের সহায়তায় নিজেকে চাপ মুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। আর অসুখ ভারী হলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থও হতে হবে। 

নিয়মিত ব্যায়াম করলে মানসিক চাপ তৈরিকারী হরমোনের নিঃসরণ কমে। সুখী হরমোন হিসেবে পরিচিত এনডোরফিনের মাত্রা বাড়ে। তাই ব্যায়াম করার চেষ্টা করতে হবে।

ঘুম শরীরকে সতেজ রাখে। তাই ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করা যেতে পারে। নিয়মিত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

মানসিক চাপে থাকলে খাওয়ার প্রতি অনেকেরই অনীহা হয়। তবে মনে রাখতে হবে,  না খেয়ে থাকা মানসিক চাপকে বা সমস্যাগুলোকে কমিয়ে দেবে না বরং খাবার আপনার শরীরকে কর্মক্ষম রাখবে এবং চাপ দূর করার পদক্ষেপগুলো নিতে সাহায্য করবে। এই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। ক্যাফেইন গ্রহণ কমিয়ে দিন।

মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান করতে পারেন। ধ্যানের সময় গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম শরীরকে শিথিল করে। ধ্যান আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি চাপ কমাতে যোগব্যায়ামও করতে পারেন।

মানসিক চাপ কমাতে পছন্দের কাজগুলোও করা যেতে পারে। চাইলে আপনি গান গাইতে পারেন, আঁকতে পারেন ছবি। ঘুরতে ভালো লাগলে ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে বেরিয়েও পড়তে পারেন।

নেতিবাচক চিন্তা এড়িয়ে চলুন। খারাপ চিন্তা হয়তো সবসময় এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তবে চেষ্টা করুন ইতিবাচক চিন্তা করতে। ভাবুন যা চাইছেন তা ইতিবাচকভাবেই পাবেন। এটা আপনাকে মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করবে।

নিজেকে গুছিয়ে রাখুন। জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে গুছান। জীবনযাপনকে একটি রুটিনের ভেতরে নিয়ে আসুন। খাওয়া, ঘুমানো, কাজ এবং নিজের পছন্দের কাজ- সবকিছুর জন্য একটি সময় নির্ধারণ করুন।

কাছের বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন, আড্ডা দিন। 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here