দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা পরিস্থিতির কারণে বিরূপ প্রভাব পরেছে পাহাড়ে। টানা অবরোধের কারণে পর্যটক শূণ্য রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলো। স্থবির হয়ে পরেছে রাঙামাটির পর্যটক সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান। একই অবস্থা বিরাজ করছে রাঙামাটির শপিংমল আর হাট-বাজারে। আমদানি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় দাম উর্ধ্বমুখী। তাই মারাত্মক সমস্যায় পরেছে রাঙামাটির সাধারণ মানুষের জনজীবন।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, দেশে যদি আরও কিছুদিন এমন সংকটময় পরিস্থিতি বিরাজ করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের বেঁচে থাকা দায় হয়ে যাবে।
রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের ভাসমান রেস্টুরেন্ট দোল’র নির্বাহী পরিচালক এন কে এম মুন্না তালুকদার বলেন, সম্প্রতি টানা অবরোধের জন্য রাঙামাটিতে বন্ধ পর্যটকের আনাগোনা। তাই আমরা যারা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা করছি সবাই এখন বেকার। টানা দুইমাস তেমন বুকিং নাই। আগে প্রতিমাসে আমাদের ৯ লাখ টাকা আয় হতো এ ভাসমান রেস্টুরেন্টে। বর্তমানে আয় একেবারে বন্ধ। কমচারীদের বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই অনেকে চাকরি ছেড়ে দিয়েছে।
একই অভিযোগ রাঙামাটি পর্যটন ঘাটের বোট মালিক সমিতির ম্যানেজার মো. রমজান আলীর। তিনি বলেন, যারা আগে কাপ্তাই হ্রদের ট্যুরিস্ট বোট চালাতো তারা একেবারে বেকার। কারণ পর্যটক নেই। অনেক ট্যুরিস্ট বোট চালক এখন রাজমিস্ত্রির কাজ করে।
অন্যদিকে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেছেন, রাঙামাটি পর্যটন মোটলে ২০ ভাগও বুকিং নেই। অবরোধের কারণে বুকিং প্রায় বাতিল হয়ে যায়। ঝুলন্ত সেতুতেও তেমন কোনো পর্যটক আসে না। এক কথায় বলা যায় স্থবির ব্যবসা।
উল্লেখ্য, বিগত বছরগুলোর পরিসংখ্যা বলছে, প্রতিবছর অক্টোবর আর নভেম্বর মাসে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে পর্যটক আসে প্রায় এক চতুর্থতাংশ। অর্থাৎ ৮৫ ভাগ পর্যটকে ভরপুর থাকতো তিন পার্বত্য জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো। মাসে পর্যটন খাতে রাজস্ব আয় হতো ৩ থেকে ৫ কোটি। কিন্তু বর্তমানে ভিন্ন চিত্র। এখন মাসে লাখ টাকাও আয় হচ্ছে না পর্যটন ব্যবসায়ীদের।