“সংস্কৃতির সংগ্রামে দ্রোহের দীপ্তি, মুক্তির লড়াইয়ে অজেয় শক্তি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, কানাডা সংসদ কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে উদযাপন করলো উদীচীর ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও উদীচী কানাডার ২৫তম বর্ষপূর্তি।
১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর শিল্পী-সংগ্রামী, কৃষক নেতা সত্যেন সেন, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক রণেশ দাশগুপ্ত, শহীদুল্লাহ কায়সারসহ একঝাঁক প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী ও তরুণের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। লক্ষ্য ছিল একটি শোষণমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। সেই উদ্দেশ্যেই দীর্ঘ ৫৫ বছর ধরে লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে আসছে উদীচী। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ বছর আগে কানাডায় গঠন করা হয় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, কানাডা সংসদ।
নতুন প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির প্রতি উৎসাহিত করার জন্য উদীচী গত মাসে শিশু-কিশোরদের নিয়ে নৃত্য, আবৃত্তি, সঙ্গীত, চিত্রাঙ্কন ও তবলা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। এই অনুষ্ঠানে বিজয়ী প্রতিযোগীদের মধ্যে ক্রেস্টও সনদপত্র তুলে দেয়া হয়। প্রতিযোগিতায় শিশু-কিশোরদের আঁকা ছবি দিয়ে তৈরী ২০২৪ সনের ক্যালেন্ডারের মোড়ক উন্মোচন করেন উদীচীর অন্যতম উপদেষ্টা বিদ্যুৎ রঞ্জন দে। এছাড়া উদীচী কানাডা সংসদের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন কানাডা উদীচীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আজিজুল মালিক ও স্বপন বিশ্বাস।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্যশিল্পী বিপ্লবকর, গানের অংশটি পরিচালনা করেন ডঃ মমতাজ মমতা এবং কবিতার অংশটি পরিচালনা করেন শিউলি জাহান।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে উদীচী শিল্পীরা সমবেত সংগীত, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করেন। এ পর্বের নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন সীমা বড়ুয়া। উদীচী শিল্পীরা কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গানটি করেন। সবশেষে সংগঠনের সভাপতি সুভাষ দাশ ও সাধারণ সম্পাদক মিনারা বেগম উপস্থিত সকল দর্শক শ্রোতা, কলাকুশলী, উদীচীকর্মী ও পৃষ্ঠপোষকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।