গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে রাশিয়ার ওপর অসংখ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্ররা। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে রুশ জ্বালানি তেলও।
তবে নিজেদের নিষেধাজ্ঞা আরোপ সত্ত্বেও রুশ সেই জ্বালানি তেল ব্যবহার করছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। এজন্য পেন্টাগন ওয়াশিংটনের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাকে এড়াতে বিকল্প পথ অনুসরণ করছে।
এতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার তেল থেকে তৈরি পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যগুলো বিভিন্ন পথ ঘুরে মার্কিন সামরিক বাহিনীতে ব্যবহৃত হচ্ছে। রুশ তেল থেকে তৈরি পেট্রোলিয়াম পণ্যগুলো গ্রিসের এজিয়ান সাগরে অবস্থিত দ্য মোটর অয়েল হেলাস শোধনাগারের মাধ্যমে পেন্টাগনের কাছে পৌঁছায়। এই প্রতিষ্ঠান হচ্ছে পেন্টাগনকে জ্বালানি সরবরাহকারী অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান।
শিপ ট্র্যাকিং তথ্যের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর থেকে এই তেল তুরস্কের একটি স্টোরেজে নেওয়া হয় এবং পরে তা গ্রিসের ওই শোধনাগারে নেওয়া হয়ে থাকে। এভাবে বিভিন্ন রুট ঘুরে রুশ তেল নিজের আসল পরিচয় গোপন করে পেন্টাগনে পৌঁছায়। রাশিয়ার তেল গ্রিসে পৌঁছানোর আগে কয়েকবার হাত বদল হয় বলেও জানায় ওয়াশিংটন পোস্ট।
পত্রিকাটি বলছে, তুরস্কের দোর্তইয়োল শিপিং টার্মিনাল থেকে গ্রিসে পৌঁছায় ওই রুশ জ্বালানি তেল। শিপ-ট্র্যাকিং ও বাণিজ্য তথ্য থেকে জানা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জি-সেভেন রাশিয়ার ওপর গত ফেব্রুয়ারি মাসে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে দোর্তইয়োল রাশিয়ার কাছ থেকে মোট ২৭ লাখ ব্যারেল তেল কিনেছে, যা কোম্পানিটির জন্য সমুদ্রপথে কেনা তেলের শতকরা ৬৯ শতাংশ। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট, আরটি