মুকুলে ছেয়ে গেছে ঠাকুরগাঁওয়ের লিচু বাগানগুলো। মধুর উৎপাদন বাড়াতে বাগানে বাগানে চাষিরা বসিয়েছেন ‘মৌ বাক্স’। সেখান থেকে দলে দলে মৌমাছির ঝাঁক বসছে লিচুর মুকুলে। জেলায় মুকুল থেকে মধু সংগ্রহে বর্তমানে ব্যস্ত মধু চাষিরা। গাছের নিচে নিচে সারিবদ্ধ করে মৌ বক্স বসিয়ে সংগ্রহ করছেন মধু। আর খাটি মধু পেয়ে বাগানে ছুটছেন স্থানীয়রা। লাভবান হচ্ছেন লিচু চাষি ও মৌ চাষিরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁও জেলায় লিচুর ভালো মুকুল এসেছে। আর মুকুল ভালো হওয়ায় চলতি মাসের ৭ তারিখে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের গোবিন্দনগর এলাকায় ৫০ শতক জমিতে মৌ বক্সে মুকুল থেকে মধু জমা শুরু করছেন একদল মৌ চাষি। তাদের মধ্যে একজন নওগা, একজন সৈয়দপুর ও বাকি ছয়জন ঠাকুরগাঁও জেলার মৌ চাষি।
দৈনিক মৌ চাষিরা প্রায় এক থেকে দেড় মণ মধু সংগ্রহ করছেন। সেই সাথে বিদেশে রফতানি হচ্ছে এই মধু। বাগানে লিচুর ভালো মুকুল আসায় এবারে লাভবান হচ্ছেন মৌ চাষিরা। সেই সাথে লিচুর ভালো ফলনের আশায় লিচু চাষিরাও। লিচু বাগানিরা বলছেন, মৌ চাষিদের এই পরাগানের ফলে লিচুর গাছে ফলন অনেক ভালো হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় ৭০৫ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৫ হেক্টরে মৌ-বক্স বসানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেড়শ কেজি মধু সংগ্রহ করা হয়েছে।
মৌ-চাষি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, চলতি মাসের শুরুতে প্রায় ৪০০ বক্স বসিয়েছেন তিনি। তার সাথে আটজন শ্রমিক প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন তিনি এক থেকে দেড় মণ মধু সংগ্রহ করছেন। এবারে প্রায় ২০০ মণ মধু বিক্রি করে অধিক লাভবানের আশা করছেন এই মৌ চাষি।
মধু সংগ্রহের মাধ্যমে লিচুর পরাগানের ফলে লিচুর ভালো ফলন পাওয়া যাবে বলে মনে করেন ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আলমগীর কবির।