শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও মুহাম্মদ মনসুর আলী জাতীয় চার নেতা ইতিহাসের সন্তান নন, তারা নিজেরাই ইতিহাস সৃষ্টি করে গেছেন। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে তাদের স্মৃতিও ততদিন অম্লান থাকবে।
কিশোরগঞ্জে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেছেন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। পিতার পারিবারিক জীবন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন তিনি।
কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ সাদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এম. এ আফজল, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট নাসির উদ্দিন ফারুকী, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহবুব ইকবাল, জেলা সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট অশোক সরকার ও সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের সহধর্মিণী সৈয়দা মাহবুবা ইসলাম।
বক্তারা জেলহত্যা দিবসকে জাতীয়ভাবে পালন, জাতীয় চার নেতার জীবনী পাঠপুস্তকে অন্তর্ভূক্ত করা এবং জেলহত্যায় জড়িত আসামিদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করার দাবি জানান।
সভা সঞ্চালনা করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পৌর মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তাহেরা খান পাঠান ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক শহীদুল ইসলাম রুবেল।
স্মৃতিচারণ শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্য, জাতীয় চার নেতা, স্বাধীনতা আন্দোলনসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়ন কামনায় দোয়া করা হয়।