বিএনপি ও সমমনা দলের ডাকা অবরোধ পালনে ঝিনাইদহে নেতাকর্মীরা মাঠে না থাকলেও প্রতিরোধে সরব আওয়ামী লীগ। ঢিলেঢালাভাবে অবরোধ পালন হলেও চলছে না পণ্যবাহী যানবাহন ও গণপরিবহন। এতে আতঙ্ক ও চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জনসাধারণ। তবে নাশকতা কিংবা বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চলছে ঢিলেঢালা ভাবে অবরোধ। শপিংমল ও দোকানপাট খোলা থাকলেও নেই তেমন বেচাবিক্রি। মহাসড়কগুলোতে দু’একটা পন্যবাহী যানবাহন চললেও যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো বন্ধ রয়েছে। চাকুরীজীবী ও কর্মব্যস্ত মানুষদের গন্তব্যে ভেঙ্গে ভেঙ্গে পৌছাতে হচ্ছে ইজিবাইক, সিএনজিসহ ছোটখাটো যানবাহনে। তবে কাজ নেই শ্রমিকদের। এমন পরিস্থিতিতে আতংক আর দুর্ভোগ যাত্রী সাধারণের। তবে নাশকতা ও সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিএনপির ডাকা প্রথম দিনের হরতাল সমর্থনে ঝিনাইদহ জেলা শহরে বিএনপি ঝটিকা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় বিএনপির ডাকা অবরোধ সমর্থনে মাঠে দেখা মেলেনি স্থানীয় কোন নেতাকর্মীদের। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে জেলা বিএনপির কার্যালয়টিও রয়েছে তালাবদ্ধ। জেলা বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা গ্রেফতার এড়াতে দিয়েছে গা ঢাকা।
এদিকে অবরোধ প্রতিরোধে প্রতিদিনই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জেলা উপজেলা শহর গুলোতে করছে বিক্ষোভ মিছিল ও শান্তি সমাবেশ। দোকানপাট খোলা রাখা ও চালকদের গাড়ি চালাতে পরামর্শ জেলা আওয়ামী লীগের। অবোরধে কোন ধরনের ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস তাদের।
অবরোধ ও এমন সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনের দাবি জেলাবাসীর। অবৈধ অবরোধ প্রত্যাক্ষমানুষ মানে না এমন দাবি করে দোকানপাট খোলা রাখা ও চালকদের গাড়ি চালাতে পরামর্শ দিচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু।