যেখানে জ্বালাও পোড়াও সেখানেই প্রতিরোধ : নাছিম

0

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমাদের মাঠে ময়দানে মানুষের সাথে মিশে ধ্বংস ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। আমাদের জ্বালাও পোড়াও, খুনের রাজনীতির বিপক্ষে দাঁড়াতে হবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের কাজ করতে হবে। যারা আমাদের বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চাইবে তাদের প্রতিহত করা হবে। বিএনপি-জামায়াত আমাদের সোনার বাংলাদেশকে অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে ধ্বংস করতে চায়। এদের বিপক্ষে আমাদের মাঠে নামতে হবে। যেখানে জ্বালাও পোড়াও হবে সেখানেই প্রতিরোধ করতে হবে। 

রবিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শহীদ এম মনসুর আলী স্মৃতি সংসদ আয়োজিত জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় এসব কথা বলেন নাছিম।

নাছিম বলেন, বিএনপি একটি অপশক্তি। এদের হাত থেকে আমাদের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে। এদের ধ্বংস করতে না পারলে এরা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিবে। জাতির পিতা সারাজীবন যে সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন এরা ধ্বংস না হলে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা করতে পারব না। জাতির পিতা কখনো খুনিদের কাছে মাথা নত করেননি, আপোষ করেননি। এ অপশক্তি মিথ্যা, গুজব ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে আবারও অশান্ত করতে চায়। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে বিশ্বাস করে না। এরা চায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতো জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হোক।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে যদি তার পরিবারের কেউ বেঁচে থাকে সে যদি বাংলার মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে যায় তাহলে তার জায়গা হবে-এ কথাটি ভেবে জাতির পিতার পরিবারের সকলকে সেদিন নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর ২ কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাহিরে থাকায় তারা বেঁচে গিয়েছিল। তারা যদি দেশে থাকতো তাহলে হয়তো একই ঘটনার শিকার হতেন। জাতীয় ৪ নেতা জেল খানার ভিতরে থাকায় তাদেরও হত্যা করা হয়। আমরা ভেবেছিলাম তাদের উপর কোন আঘাত আসবে না। খুনির দলেরা সে সুযোগ তাদের দেয়নি। আজকে তারা বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে আজ যে রোল মডেল তা অনেক আগেই হতো।

জাতীয় চার নেতার কথা স্মরণ করে নাছিম বলেন, জাতীয় চার নেতা সারা জীবন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে বিশ্বস্ত ছিলেন। তারা ছিলেন নির্লোভ, নির্মোহ। তারা মন্ত্রিত্ব প্রত্যাখ্যান করে কারাবরণ করেছেন, কিন্তু নিজেদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। আমাদেরও চার নেতার পথ অনুসরণ করে চলতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু ভার্চুয়ালি বলেন, জাতীয় চার নেতার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত অনেক স্মৃতি আছে। চার নেতা জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে নিজের আদর্শের প্রতি অবিচল ছিলেন। তারা কখনো বেঈমানি করেননি। আমাদের নেতাকর্মীদের জাতীয় চার নেতার আদর্শ অনুসরণ করে চলতে হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নেতা এম মনসুর আলীর পৌত্র তানভীর শাকিল জয় এমপি। তিনি বলেন, যেসব দেশ বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার খুনিদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছে তাদের উচিত হবে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো। চার নেতার পরিবারের সদস্যদের তো ন্যায় বিচার পাবার অধিকার রয়েছে। খুনিদের ফিরিয়ে না দিয়ে আশ্রয়দাতা দেশগুলো মানবাধিকার ও ন্যায় বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সভাপতি প্রকৌশলী আবদুস সবুর, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান, আইইবির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আসাদ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজালাল মুকুল, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here