ফ্যাশনে একঘেয়েমি কাটাতে নিজের লুক বা আদলে কিছুটা পরিবর্তন করলে মন্দ হয় না। তবে সে ক্ষেত্রে হেয়ার কালার সবচেয়ে ভালো অপশন। তবে হেয়ার কালারের শেড বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করতেই হয়। মনে রাখবেন, চুলে রং করার আগে কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি। প্রথমেই খেয়াল করে চুলের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন। রুক্ষ হলে চুল রং না করাই ভালো। এ ধরনের চুলে রং দীর্ঘস্থায়ী হয় না। বরং রঙের কারণে চুলের রুক্ষতা আরও বাড়ে। কোন রং মানানসই সে সম্পর্কে জেনে নিন।
যার যা ইচ্ছা সেই কালার করে যদি কেউ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তাতে আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু এক্সপার্টের অ্যাডভাইস মেনে হেয়ার কালার করানো উচিত বলেই আমরা মনে করি। হেয়ার কালার করালে প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে আইব্রো-এর কালারে। মাথাভর্তি সোনালি চুল আর কুচকুচে কালো আইব্রো সেই সঙ্গে শ্যামলা গায়ের রং! আপনার সেটা ভালো লাগলেও বাইরের দৃষ্টি তা হবে হাসি ঠাট্টার বিষয়। বেশির ভাগ বাঙালির চুলের রং কালো। আর গায়ের রং না অনেক ফরসা বা কালো। এই রংকে আবার দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। এক উষ্ণ, দুই শীতল। রোদে বেরোলে যদি আপনার ত্বক লালচে হয়ে যায়, তাহলে আপনার স্কিন টোন শীতল এবং যদি রোদে আপনার ত্বক পুড়ে যায়, তাহলে আপনার স্কিন টোন উষ্ণ। নিজের স্কিন টোন বুঝে নিয়ে বেছে নিন সঠিক হেয়ার কালার।
লেখা : শোভন সাহা [কসমোলজিস্ট]