স্মার্টফোনের দৈনন্দিন ব্যবহারের পেছনে এর ব্যাটারির সক্ষমতা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিটি ব্যাটারির একটি নির্দিষ্ট জীবনকাল থাকে। এরপর ব্যাটারির সক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে কিংবা অন্য কোনো সমস্যায় স্মার্টফোনের ব্যাটারির পারফরমেন্স হ্রাস পেতে পারে। তখন ব্যাটারি পরিবর্তন করে নেয়ার প্রয়োজন পড়ে। চলুন জেনে নেয়া যাক কী কী লক্ষণ দেখলে ফোনের ব্যাটারিটি পরিবর্তন করতে হবে।
ব্যাটারি ফুলে যাওয়া
অস্বাভাবিক চার্জিং
অনেক সময় স্মার্টফোন চার্জের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক গতি পাওয়া যায়। যেমন অনেক সময় মুহূর্তের মধ্যেই ১০ শতাংশ থেকে চার্জ বেড়ে ৫০ শতাংশ হয়ে যায়। আবার চার্জার খুলে ফেলার কিছুক্ষণের মধ্যেই চার্জ শূন্য হয়ে যাবার মতো ঘটনা ঘটে।ব্যাটারির কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই এক্ষেত্রে ব্যাটারি পরিবর্তন করে নিতে হবে।
চার্জে ধীর গতি
অনেক সময় চার্জার, চার্জিং ক্যাবল ও পোর্ট ইত্যাদি ঠিক থাকা সত্ত্বেও ফোন পুরোপুরি চার্জ হতে স্বাভাবিকের চেয়ে সময় বেশি লাগে। এসব ক্ষেত্রে ব্যাটারি পরিবর্তন করে সমস্যার সমাধান করা যায়।
দ্রুত চার্জ কমে যাওয়া
স্বাভাবিকের চেয়ে অপেক্ষাকৃত দ্রুত গতিতে চার্জ কমে যাওয়া কিংবা আগের চাইতে ব্যাকআপ অনেক কমে গেলে ব্যাটারি পরিবর্তন করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাটারির ত্রুটির কারণে দ্রুত চার্জ কমার সঙ্গে সঙ্গে স্মার্টফোন অতিরিক্ত গরম হওয়া শুরু করে।
ব্যাটারি পরিবর্তন করবেন যেভাবে
উপরের উল্লেখিত লক্ষণগুলো দেখা দিলে স্মার্টফোনের ব্যাটারি পাল্টাতে হবে। যে সব স্মার্টফোনের ব্যাটারি ‘ইউজার নন-রিমুভেবল’ সেগুলোর ক্ষেত্রে অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টার থেকে ব্যাটারি পরিবর্তন করিয়ে নিতে হবে।আর যেসব স্মার্টফোনের ব্যাটারি খোলা যায়, সেগুলোর ব্যাটারি নিজেই পরিবর্তন করা যাবে। তবে ব্যাটারি কেনার ক্ষেত্রে অরিজিনাল কিংবা একই সক্ষমতার ভাল মানের ব্যাটারি কিনতে হবে।