ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থলঅভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরায়েল। এই স্থল অভিযানের জন্য তিন সপ্তাহ আগে গাজা সীমান্তের কাছে তিন লাখেরও বেশি সেনা জড়ো করেছে দেশটি।
গাজার সীমান্তবর্তী অংশে ঝটিকা অভিযান চালানোর দাবি করলেও সেখানে পূর্ণ মাত্রায় স্থলঅভিযান শুরু করেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এর অন্যতম কারণ হলো গাজার বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে হামাসের গোপন সুড়ঙ্গ রয়েছে। ইসরায়েলিদের ভয়— এসব সুড়ঙ্গ থেকে হামাসের যোদ্ধারা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালাতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেনেড সদৃশ এ বোমার মধ্যে অবশ্য কোনো বিস্ফোরক নেই। তবে এগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে—এগুলো হামাসের সুড়ঙ্গগুলো বন্ধ করে দেবে এবং এতে করে সেখান থেকে তাদের যোদ্ধারা বের হতে পারবে না।
যেভাবে কাজ করবে এ বোমা
এই বিশেষ বোমাটি দুটি তরল পদার্থ দিয়ে তৈরি। এ তরল পদার্থগুলো একটি প্লাস্টিকের মধ্যে থাকে। আর যে দুটি তরল পদার্থ রয়েছে সেগুলো আলাদা করা হয়েছে একটি লোহার প্রতিবন্ধক দিয়ে।
যখন এই বোমাটি অ্যাক্টিভেট করা হয় তখন তরল পদার্থগুলো একে-অপরের সঙ্গে মিশে যায়।
তরলগুলো মিশে যাওয়ার পর হঠাৎ করে এটির মধে ফোমের বিস্ফোরণ হয়। যেটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং শক্ত হয়ে যায়।
টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, বর্তমানে ইসরায়েল এসব বোমার পরীক্ষা চালাচ্ছে। এর আগে ২০২১ সালে তাদের এ বোমা দিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে দেখা গিয়েছিল। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, ডেইলি মেইল