রংপুরের পীরগাছা উপজেলার আলু চাষি নজরুল ইসলাম বুলবুল প্রতি বছর ৪/৫ একর জমিতে আলুর আবাদ করেন। কৃষক পর্যায়ে আলুর দাম না বাড়ায় মৌসুমের প্রথমেই আলু বিক্রি করে ফেলেন তিনি। ফলে আলুর বাড়তি দাম পাননি। এ নিয়ে তার আক্ষেপ রয়েছে।
আর কয়দিন পরেই আলু রোপনের মৌসুম পুরোপুরি শুরু হবে। তিনি চিন্তিত বীজসহ অন্যান্য উপকরণের দাম যে ভাবে বাড়ছে তাতে এবার উৎপাদন খরচ অনেক বেশি পড়বে। তার মত অনেকেই এবার আলুর উৎপাদনের বাড়তি খরচ নিয়ে চিন্তিত।
জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় প্রতি বছর ১ লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে আলুর আবাদ হয়ে থাকে। মোট আবাদের ৩০ শতাংশ আলু বীজের প্রয়োজন হয়। সেই হিসেবে রংপুর অঞ্চলে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টনের মত বীজের প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে বিএডিসি সরবরাহ করতে পারে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন। বড়-বড় কৃষক রোপনের বীজ আলু নিজেদের সংগ্রহে রাখলেও ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বীজ আলু ব্যবসায়ী পর্যায়ে সংগ্রহ করতে হয় কৃষকদের। তাই বীজ নিয়েও চিন্তিত রয়েছে কৃষকরা।
এছাড়া চাহিদার মাত্র ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বীজ আলু হিমাগারে সংরক্ষণ হয়ে থাকলেও এবার বেশি দাম পেয়ে অনেকেই বীজ আলু হিমাগার থেকে বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে বীজেরও সংকট দেখা দিতে পারে। জমি চাষ ও শ্রমিকদের মজুরিও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এটা কৃষকদের কাছে বাড়তি খরচ। এছাড়া সার ও কিটনাশকের দামও গত বছরের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে। কৃষকরা বলেন, আলু চাষের জন্য বীজসহ সব ধরণের উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার একর প্রতি খরচ বাড়বে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
রংপুর বিএডিস (বীজ বিপণন) উপ-পরিচালক মো. মাসুদ সুলতান বলেন, বিএডিস রংপুর অঞ্চলে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন পর্যন্ত বীজ আলু সরবরাহ করতে পারে। বাকি বীজ কৃষকরা স্থানীয় ভাবে সংগ্রহ করেন।