আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর। ধরণীর বহিরাকাশে অন্তর্হিত মেঘমালা। প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমনবার্তা। আনন্দময়ী মহামায়ার পদধ্বনি অসীম-ছন্দে বেজে উঠে রূপলোক ও রসলোকে আনে নবভাবমাধুরীর সঞ্জীবন। তাই আনন্দিতা শ্যামলী মাতৃকার চিন্ময়ীকে মৃন্ময়ীতে আবাহন।
বিএসপিসি (বাংলাদেশ সোসাইটি ফর পুজা অ্যান্ড কালচার) দীর্ঘ দুই যুগ ধরে এ প্রবাসে সনাতনী শুদ্ধ সংস্কৃতি লালন, ধারণ ও প্রসার করে আসছে। বিএসপিসির সাংস্কৃতিক পর্ব সব সময় ব্যতিক্রমধর্মী। আর এ কারনেই তা আমাকে সম্মোহিত করে। চিন্তার সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে কোটারী রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বারবার যাই তাদের আয়োজনে। হাজার হাজার ভক্ত শুভান্যুধায়ীদের মাঝে নিজেকে ঠাঁই দিয়ে ভালোলাগা মুহুর্তগুলো ধরে রাখার চেষ্টা করি।
সবশেষে নির্মল চর্ক্রবর্তীর গ্রন্থনায় ও সুমিতা দের প্রযোজনায় গীতি আলেখ্যটি ছিলো অসাধারন। বর্তমান প্রজন্মের বিশেষ করে নিলাদ্রি, হিমাদ্রি, অঙ্কন, অর্ঘ, অমৃতা, ত্রিশিতা সহ আরো চোট্ট সোনামনিদের পরিবেশনা সবাইকে মুগ্ধ ও আপ্লুত করেছে। আগত অতিথিদের জন্য যথারীতি প্রসাদ, মধ্যাহ্ণভোজ, বৈকালিক জলযোগ ও নৈশভোজের আয়োজন ছিলো। সবকিছু মিলিয়ে আয়োজনটি সফল ও সার্থক হয়েছে।