হবিগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন ও সেবাশ্রম, বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজার সার্বজনীন দুর্গাপূজা ও জয়পুর শচী অঙ্গন ধামে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার রামকৃষ্ণ মিশনে সকাল ১০টায়, মিরপুর বাজার সার্বজনীন দুর্গাপূজা ও জয়পুর শচী অঙ্গন ধামে বেলা ১১টায় এ কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। দূর্গাপুজার মহাঅষ্টমীর দিন প্রতি বছর ৫ থেকে ১২ বছরে বয়সী কিশোরীকে দেবীরুপে পূজা করা হয়।
জানা গেছে, এবার শহরের রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজায় পুঁজিত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার মলাইশ গ্রামের অনুপ চক্রবর্তী বিপ্লব ও অনীতা চক্রবর্তীর কন্যা আবৃতি চক্রবর্তী (৭)। সে স্থানীয় বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। তার শাস্ত্রীয় নাম মালিনী কুমারী।
হবিগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন ও সেবাশ্রম অধ্যক্ষ স্বামী শিবময়ানন্দ মহারাজ জানান, কুমারি পূজার অর্থ হলো নারী শক্তিকে পূজা করা, মায়ের রূপকে পূজা করা। আমাদের মাঝে যত কাম, ক্রোধ, লোভ, লালসা দূর করে অসুরের বিনাশ ও পবিত্র মানুষদের রক্ষা করেন মায়ের কাছে এই প্রার্থনা করি। তিনি বলেন, কুমারী পূজা উপলক্ষে রামকৃষ্ণ মিশনে হবিগঞ্জ ছাড়াও পাশের জেলাগুলো থেকে শত-শত নারী পুরুষ এখানে এসেছে। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে, কুমারী পূজা উপলক্ষে জেলাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি মাঠে থাকে র্যাব-আনসার সদস্যরা। এ ছাড়াও মণ্ডপ এলাকা যানজটমুক্ত রাখতে নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা। মণ্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি বাড়ানো হয় সাদা পোশাকধারী পুলিশের নজরদারি।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, শুধু কুমারী পূজা নয়, পুরো পূজার আয়োজনে নির্বিঘ্নে করতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশি টহল ছাড়াও সাদা পোশাকে নজরদারি রয়েছে সার্বক্ষণিক।