বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শহিদ শেখ রাসেলের ৬০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানটি পালিত হয়।
দূতাবাসের প্রথম সচিব আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ। এছাড়া অনুষ্ঠানে পর্তুগাল বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেত-কর্মীবৃন্দ, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ পর্তুগালের মানবাধিকার সংগঠন Fundacão de Assistencia Médica Internacional (AMI) এর মানবাধিকার কর্মী তানিয়া বারবোসা এবং আনা লুইসা ফেররেইরা অংশ গ্রহণ করেন।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কর্মী আনা লুইসা ফেরেইরা, তানিয়া বারবোসা, লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিব কুমার, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল আলম জসিম, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব রানা তসলিম উদ্দিন, এই সময় বক্তাগণ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং শিশুদের অধিকার সংক্রান্ত কনভেনশনের কথা উল্লেখ করেন এবং স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি কর্তৃক শেখ রাসেল-এর নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ তার বক্তব্যের শুরুতেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রদূত গভীর দুঃখের সাথে বলেন , সেদিন ১০ বছরের নিষ্পাপ শিশু রাসেলও খুনিদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। রাসেল যদি বেঁচে থাকতো, তাহলে হয়তো মহানুভব, দূরদর্শী ও আদর্শ নেতা আজ আমরা পেতাম, যাকে নিয়ে দেশ ও জাতি গর্ব করতে পারতো কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী, ষড়যন্ত্রকারী ও বিশ্বাসঘাতকরা তা হতে দেয়নি। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বর্তমান পৃথিবীতে বিদ্যমান সকল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও সংশ্লিষ্ট কনভেনশন অনুযায়ী ১০ বছরের নিষ্পাপ শিশু রাসেল হত্যা মানবতার চরম লংঘন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ। এছাড়াও তিনি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।